বাঁকুড়া, আব্দুল হাই :- স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা প্রতারণার শিকার হলেন বাঁকুড়ায়। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের কাছ থেকে কৌশলে বিভিন্ন নথিপত্র ও বায়োমেট্রিক সংগ্রহ করে তাঁদের নামে ঋণ তুলে আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠল একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টের কর্তা সহ দুজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা সামনে আসার পরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্ত দুজনকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার সাসপুর এলাকার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে বেশ কিছুদিন আগে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মী হিসাবে পরিচয় দিয়ে লতা যশ নামের এক মহিলা সাসপুর এলাকার গোষ্ঠীর মহিলাদের সাথে আলাপ জমিয়ে তাঁদের পাকা বাড়ি তৈরী করে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। এর জন্য প্রথমে ২৫ হাজার টাকা ও পরে ৪৫ হাজার টাকা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটির কাছে জমা দেওয়ার শর্ত দেন ওই মহিলা । বাড়ি তৈরীর জন্য এলাকার মহিলাদের কাছ থেকে নথিপত্রও নেন ওই মহিলা। অভিযোগ মহিলার কথামতো প্রথম দফার ২৫ হাজার টাকা গোষ্ঠীর মহিলারা দিতে অসমর্থ হলে একটি মাইক্রোফিনান্স সংস্থা থেকে ওই টাকা ঋণ হিসাবে মহিলাদের পাইয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। অভিযোগ লতা যশ নামের ওই মহিলা স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তি নিশাকর খাঁ ও স্থানীয় একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টের কর্তা সার্থক নন্দীর সহায়তায় স্থানীয় ৩০০ জন মহিলার নামে মাইক্রোফিনান্স সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ করতে শুরু করে। পরবর্তীতে মাইক্রোফিনান্স সংস্থার কর্মীরা গোষ্ঠীর মহিলাদের কাছ থেকে ঋণের টাকা চাইতে গেলে গোটা বিষয়টি সামনে আসে। এরপরই রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থার কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টের কর্তা সার্থক নন্দী ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তি নিশাকর খাঁ কে গাছে বেঁধে মারধর করে এলাকাবাসী। স্থানীয়দের অভিযোগ গোটা প্রতারণা চক্রের মাস্টার মাইন্ড নিশাকর খাঁ। ব্যাঙ্কের কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টের মালিক সার্থক নন্দী গোষ্ঠীর মহিলাদের ভূল বুঝিয়ে তাঁদের নথি ও বায়োমেট্রিক ব্যবহার করে ঋণের টাকা তুলে নেওয়ার জন্য নিধাকর খাঁর হয়ে কাজ করেছে। অভিযুক্ত দুজনই গোষ্ঠীর মহিলাদের ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টের কর্তা সার্থক নন্দীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।