নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বেআইনিভাবে চলছে পুকুর ভরাটের কাজ। প্রশাসনের ঢিল ছোড়া দূরত্বে কিভাবে চলে এই পুকুর ভরাটের কাজ উঠছে প্রশ্ন। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করতে গেলে জমি মালিকের হুমকির মুখে পড়তেহয় সংবাদ মাধ্যম কর্মীদের। ঘটনাটি নদীয়ার শান্তিপুর থানার লেবুতলা পাড়া লেনের। জানা যায় শান্তিপুর পঞ্চানন তলা সংলগ্ন একটি লজের মালিক দেশবন্ধু বিশ্বাস গত কয়েক মাস ধরেই ওই পুকুরটি মাটি ফেলে ভরাট করার কাজ চালাচ্ছিল। তাও আবার আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে। রাতের অন্ধকার বা দিনের আলোয় ট্রাক্টরে করে মাটি ফেলে চলছিল ভরাটের কাজ। এদিন খবর পেতেই খবর সংগ্রহ করতে যায় সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা, এরপরেই জমির মালিকের রসের মুখে পড়তে হয় সাংবাদিকদের। প্রশ্ন করলে বারং বার দেয় হুমকি, বৈধ কাগজপত্র আছে কিনা তা জানতে চাইলে সেই কথা উড়িয়ে দিয়ে সংবাদ মাধ্যম কর্মীদের আবারো দেওয়া হয় হুমকি। এখন একটাই প্রশ্ন যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে নদী-নালা জলাশা এবং কুকুর ভরাট করা নিয়ে বারেবার সতর্ক করেছেন। প্রয়োজনে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে কিভাবে বেআইনিভাবে চলে পুকুর ভরাটের কাজ। সূত্রে জানা যায় এই পুকুর ভরাট রুখতে এলাকাবাসীরা একটি মার্চ জমা দিয়েছিলেন পৌরসভায়, কিন্তু তারপরেও বেআইনিভাবে চলে পুকুর ভরাটের কাজ, যা এখন প্রায় শেষের দিকে। এ প্রসঙ্গে পৌরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ কে প্রশ্ন করলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এই ধরনের অভিযোগ যদি জমা পড়ে দ্রুত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে, কারণ আইনের বাইরে কোন কাজ করলে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে পৌরসভা।