নদীয়া শান্তিপুর স্টেট জেনারেল এর মত সরকারি হাসপাতালে স্বল্প পরিকাঠামোর মধ্যে এই প্রথম সফল অস্রোপচার করে সাফল্য।

0
155

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- একবার দুইবার নয় একই গৃহবধূর চারবার সিজার। স্টেট জেনারেল এর মত সরকারি হাসপাতালে স্বল্প পরিকাঠামোর মধ্যে এই প্রথম সফল অস্রোপচার করে সাফল্য। পুত্র সন্তান ধারণ করার পর বর্তমানে দুজনের শারীরিক অবস্থায় স্থিতিশীল। নদীয়ার শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের ঘটনা। জানা যায়, নদীয়ার তেহটটো ব্লকের পলাশীপাড়া বাসিন্দা অসীমা দাস। গত রবিবার তিনি শান্তিপুর হাসপাতালে ভর্তি হন। এর আগে তিনি তিনবার সন্তান ধারণ করেছিলেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে একটি কন্যা সন্তান মারা যায়। বর্তমানে তার দুটি কন্যা সন্তান ছিল। পুত্র সন্তান পাওয়ার আশায় আবারো ওই গৃহবধূর গর্ভবতী হন। কিন্তু এর আগে তিনবার সিজার হওয়ার কারণে প্রচন্ড প্রাণের ঝুঁকি ছিল ওই গৃহবধুর। অবশেষে শান্তিপুর হাসপাতালে বর্তমানে গাইনো চিকিৎসক পবিত্র বেপারী সহযোগিতায় শান্তিপুর হাসপাতালে ভর্তি হন। গতকাল একটি মেডিকেল টিম গঠন হয় চিকিৎসক পবিত্র ব্যাপারীর তত্ত্বাবধানে। সকল অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। ওই গৃহবধূ অসীমা দাসের মা কাজল দাস বলেন, চারবার সিজার হওয়ার পর বর্তমানে পুত্র সন্তান হয়েছে। এখন মা এবং ছেলে দুজনেই ভালো রয়েছে। শারীরিকভাবেই আমরা খুশি এবং চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে শান্তিপুর হাসপাতালে প্রসূতি চিকিৎসক পবিত্র ব্যাপারী বলেন, পলাশী পাড়ার গৃহবধ ূ অসীমা দাস গত পরশুদিন শান্তিপুর হাসপাতালে ভর্তি হন। সচরাচর চার নম্বর সিজার পাওয়া যায় না বললেই চলে। আমরা বিভিন্ন আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেছি এবং আমার চিকিৎসা জীবনে এই প্রথম চার নম্বর সিজার করেছি। খুব বেশি হলে তিন নম্বর সিজার আমরা খুব কম পেয়ে থাকি। এই জায়গায় চার নম্বর সিজার অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এই সমস্ত রোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রাণের ঝুঁকি থাকে সেই কারণে বিভিন্ন সময় এই ধরনের রোগীকে মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। যেহেতু তিনি গর্ভবতী ছিলেন সেই কারণেই তাকে একটি ঝুঁকির মধ্যে দিয়েই স্টেট জেনারেল হাসপাতালের মত পরিকাঠামোর মধ্যে অস্ত্রপচার করা হয়। তবে খুশির খবর বর্তমানে মা এবং ছেলে দুজনেই ভালো রয়েছে। এই সমস্ত রোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেই কথা মাথা রেখেই একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয় এবং যাতে রক্তের অভাব না পড়ে সেই দিকে ও নজর রাখা হয়েছিল হাসপাতালে তরফে। চিকিৎসক পবিত্র বেপারী আরো বলেন এই প্রথম স্বল্প পরিকাঠামো যুক্ত হাসপাতালে এই ধরনের অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। তবে এই রকম ভাবে জীবনে ঝুঁকি নিয়ে কেউ যেন আর সন্তান নেওয়ার চিন্তাভাবনা না করে তারও অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।