দক্ষিণ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- ভোট যায় ভোট আসে তবু গ্রামের চলাচলের সেতু সারাই আর হয়না দীর্ঘ পাচ বছর ধরে।শুধু হওয়ার আশ্বাস সার।সামনেই পঞ্চায়েত ভোট তবুও দীর্ঘ পাচ বছর ধরে ভেংগে বেহাল অবস্থায় দক্ষিন দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের রামপাড়া চ্যাচড়া পঞ্চায়েতের জুরমুলঘাট এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সেতু। । এই সেতু মেরামত না হওয়ায় সমস্যায় পড়ছে এলাকার মানুষ।অথচ এই সেতুর রাস্তার উপর দিয়ে চলাচলের নির্ভরশীল এই এলাকার আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা।চলাচলের বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে সংযোগ সড়কহীন সেতুর ওপর দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে। ফলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।’বাসিন্দাদের অভিযোগ বার বার এই পাচ বছরে প্রশাসনের কাছে সেতু সারানোর আবেদন জানালেও হেল দোল না হওয়ায় ক্ষুদ্ধ এলাকার বাসিন্দা।তাই আসন্ন ভোটে উচিত জবাব দিতে মুখিয়ে বাসিন্দারা বলে জানা গেছে গ্রামগুলি সুত্রে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বারবার সেতু সারাইয়ের কথা বলা হলেও প্রশাসন গা করছে না। দীর্ঘ চার-পাঁচ বছর ধরে এমনই বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে বলে স্থানীয়দের দাবি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রতি ভোটের আগে সেতু সাড়াই এর প্রতিশ্রুতি দিলেও তারপর কাজের কাজ কিছু হয় না। অথচ এই রাস্তার উপর নির্ভরশীল হাজার কয়েক বাসিন্দারা।এই অবস্থায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বেহাল সেতু সারানোর দাবি জোরালো হয়েছে এলাকায়।
মুক্তারপুর, খোসালপুর, গনাহার, মান্দাপাড়া , এই গুলো ব্রিজের পূর্ব দিকের গ্রাম ।
রামপাড়া , জোরমইল , বলিপুকুর , এইগুলো ব্রিজের পশ্চিম দিকের গ্রাম ।
ব্রিজের পশ্চিম দিকে হাট বাজার , হসপিলাম ,ব্যাংক সব কিছু অবস্থিত । এলাকাবাসিরা জানান,মুক্তারপুর, খোসালপুর, গনাহার, মান্দাপাড়া , এই সব গ্রামের মানুষ জন এবং স্কুলের ছাত্র ছাত্রী সকলে দৈনন্দিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজ দিয়ে পারা পার করেন।
তপনের বিজেপি বিধায়ক বুধরাই টুডু অবশ্য এজন্য শাসকদলের দিকে অভিযোগের আংগুল তুলে বলেছেন তিনি বিধায়ক হবার পর থেকেই ওই সেতু সারানোর জন্য পুর্তদফতরে আবেদন জানিয়েছি, পুর্তদফতর বলে বিষয়টি জেলা শাসককে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। জেলা শাসকের কাছে চিঠি দিয়ে খোজ নিতে গেলে জানানো হয় তারা নাকি সব উপর মহলে পাঠিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু ওই পর্যন্তই এরপর আর কোন কিছুই তৃনমুল পরিচালিত জেলা পরিষদ করে নি বলে তিনি অভিযোগ করে জানান।
অপরদিকে জেলা তৃনমুলের শ সভাপতি সুভাষ চাকি জানান ওই সেতুর কাজের বরাদ্দ করা হয়েছে।যে হেতু এখন ভোট চলে এসেছে তাই ভোট পার হলেই কাজের ব্যাপারে সব কিছু আরম্ভ হবে বলে আমি খোজ নিয়ে জেনেছি বলে তিনি জানান।