নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ—-পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে হরিশ্চন্দ্রপুরে তৃনমূলে বড়সড়ো ভাঙ্গন ধরালো কংগ্রেস।
এতে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল।তবে কি
ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃনমূল জয়ী হতে পারবে তো!এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নানান প্রশ্ন।’আমরা আগে জানতাম দলে এস সি,এস টি ও ওবিসিদের জন্য টিকিট সংরক্ষণ থাকে,কিন্তু আজকে আমরা তৃনমূল দলে দেখছি যারা দুর্নীতিবাজ,তোলাবাজ ও খুনীদের জন্য টিকিট সংরক্ষিত হচ্ছে’-তৃনমূল দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করতেই রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন ও জেলা সভাপতি আব্দুল রহিম বক্সির বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন বিদায়ী ১৫ নং জেলা পরিষদের সদস্যা মমতাজ বেগম ও তার স্বামী আমিনুল হক এবং পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ আদিত্য মিশ্র।আজ বুধবার সকাল এগারোটা নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুর কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় ইন্দিরা ভবনে কংগ্রেসের প্রাক্তন এমএলএ ও রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সদস্য মোস্তাক আলমের হাত ধরে তাঁরা কংগ্রেসে যোগদান করলেন বলে খবর।যদিও দলবদল কে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস।সদ্য কংগ্রেসে যোগদানকারী বিদায়ী জেলা পরিষদের সদস্যা মমতাজ বেগম জানান,রাজ্যের জেলা পরিষদের তালিকায় তাঁর নাম ছিল।১৩ জুন রাত আটটা নাগাদ তৃনমূল ভবন থেকে তাকে ফোনে জানাও হয়।এমনকি আইপ্যাক সূত্রের খবরেও তার টিকিট নিশ্চিত ছিল।সকাল হতেই জেলার তালিকায় তার নাম নেই।লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে রাতারাতি টিকিট বিক্রি করে দিয়েছেন মন্ত্রী তাজমুল হোসেন ও জেলা সভাপতি আব্দুল রহিম বক্সি বলে অভিযোগ।অপরদিকে আদিত্য মিশ্র জানান,তৃনমূল দলটি এখন পুরোপুরি কাটমানি,জমি মাফিয়া ও ঠিকাদারের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতার এই দলে স্থান নেই,সম্মান নেই।অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলেই পুলিশ কেস খেতে হয় বলে অভিযোগ।এমনকি মন্ত্রী তাজমুল হোসেন তাঁর চেয়ারটি টিকিয়ে রেখেছে জমি মাফিয়া ও ঠিকাদারদের উপর নির্ভর করে।যে দলে তাঁর সম্মান নেই সেখানে সে থাকবেন কিজন্য।তাই তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করলেন।মালদা জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন,তৃণমূলে থেকে সমস্ত সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছেন।এখন টিকিট না পেয়ে দলবদল করছেন।এতে তৃণমূলের কোনো ক্ষতি হবে না।
Home রাজ্য উত্তর বাংলা পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে হরিশ্চন্দ্রপুরে তৃনমূলে বড়সড়ো ভাঙ্গন ধরালো কংগ্রেস।