পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- রাজ্যে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন থেকে একাধিক এলাকায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে প্রাণ গেছে বেশ কয়েকজনের, এই নিয়ে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির, যদিও নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে কোন হিংসার ঘটনা প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়নি, অবশেষে মনোনয়ন পড়বে হিংসা হয়েছে এটা মানলো রাজ্য নির্বাচন কমিশন, তবুও নেটের সংখ্যা নিয়ে এখনো বিতর্ক, মৃত্যুর সংখ্যা নয়জন হলেও নির্বাচন কমিশন বলছে মৃত্যুর সংখ্যা চার, কোন জেলায় কতজন নিহত হয়েছেন তার বিস্তারিত তথ্য এখনো পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের তরফে দেওয়া হয়নি, এই বিষয় নিয়ে এবার কড়া মন্তব্য করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ দিলীপ ঘোষ, শুক্রবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রেল শহর খড়গপুরের বোগদা এলাকায় কর্মীদের নিয়ে চার চক্রে যোগ দিয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন আমরা দেখেছি বড় বড় নেতারা জেলে আছে কিন্তু তাদের সম্পত্তি ও টাকার পরিমান স্বীকার করছেন না, কারো বান্ধবী কারো মেয়ে যখন বলছেন হ্যাঁ এটা বাবার টাকা, কয়েক মাস জেলের ভাত খেতেই স্বীকার করছেন, ঠিক এখানেও কান মোলা খেতেই স্বীকার করেছেন নির্বাচন কমিশন, পুলিশির সামনে খুনের ঘটনা ঘটেছে আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন আমার এই নিয়ে দুইজন কর্মী খুন হয়েছে,এই নিয়ে তিনজন হয়ে গেল, সব পার্টির লক্ষণ হয়েছে এই নিয়ে নয় থেকে দশ জন খুন হয়েছে ১৫ দিনের মধ্যে, পুলিশ রিপোর্টে কোন উল্লেখ নেই যে মারা গেছে বলে! পুলিশ আটকাতেও পারেনা এবং সত্য স্বীকার করতেও পারে না, এই যে হিংসার ঘটনা ঘটছে আমরা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের পর্দায় দেখছি, এখন বাধ্য হয়েছেন তাই আমি মনে করি এই ইলেকশন কমিশনারের একদিনও থাকার অধিকার নেই, অন্যদিকে গতকাল ভাঙরে যেই অশান্তির ঘটনা ঘটেছে তাই নিয়ে সড়ক হয়েছে সব্যসাচী দত্ত, কার্যত তিনি পুলিশ প্রশাসনকে দায়ী করেছেন, সেই বিষয় নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন উনি পুলিশকে শুধু তাই করছেন! উনাদের বিধায়ক ক্যানিং এবং জিবনতলা থেকে গুন্ডা নিয়ে আসছে গাড়িতে করে, সেগুলো পড়ে আছে জ্বলন্ত অবস্থায়, আর যে ধরা পড়েছে সে বলেছে আমাকে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে বন্ধুক এবং বোম মারতে নিয়ে আসা হয়েছে, আর সেই গুন্ডাকে জেট ক্যাটাগরীর সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে, যেই দল ক্ষমতায় আছে তারাই যদি গুন্ডা নিয়ে এসে মারপিট করে গন্ডগোল করে তাহলে শান্তি কিভাবে হবে, পুলিশ কি তৃণমূল নেতাদের গায়ে হাত দেবে! কার দম আছে, কোন দিকে সেন্ট্রাল ফোর্স নিয়ে হাইকোর্টের কাছে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য, সেই প্রসঙ্গ নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন আমরা বলেছিলাম ২০১৩ সালে যে পরিমাণ সেন্টাল ফোর্স এসেছিল তার থেকে বেশি পরিমাণ সেন্ট্রাল ফোর্স দিতে, কারণ বুথ বেড়েছে,ভোটার বেড়েছে,তাই হয়েছে ২০১৩ সালে মিরা পান্ডে সুপ্রিম কোর্ট লোড়ে ৮২০ কোম্পানি সেন্ট্রাল ফোর্স নিয়ে এসেছিলেন, এবার ৮২২ কোম্পানি সেন্ট্রাল ফোর্স নিয়ে আসার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, অন্যদিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সরানো প্রসঙ্গ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ বলেন মমতা ব্যানার্জি যাতে ওই চক্করে না থাকেন, যাকে তাকে চামচা,বেলচা কে করে দেবেন, ডজন ডজন মানুষ মারা যাবে এটা হতে পারে না, ওই আইনকানুন ছাড়ুন, আপনারা কখনো আইন কানুন মেনেছেন, না কোর্ট কাচারি মানেন না, সংবিধান মানেন, না রীতিনীতি মানে, তারা আবার কংসের মতো বলছে কেনো হাঁটু ভেঙেছো, কোমর ভাঙবো না কেন, হাঁটু-কোমর সবই ভাঙবে এবারে, এভাবে বেআইনি কাজ করলে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া উচিত, অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চের , আজ তার শুনানি, সেই প্রসঙ্গ নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন কোর্ট যা ডিসিশন নিচ্ছে খুশি সাধারণ মানুষ, কোর্টের দায়িত্ব এই দায়িত্ব পালন করিয়ে নেওয়া,নাহলে এরা মানবে না কিছুতে,সব এদিক ওদিক করে দেওয়ার চেষ্টা করছে, অন্যদিকে বাসদ্রনিতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর নিয়ে দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে,সেই প্রসঙ্গ নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন জানিনা এটা কারা করেছে পার্টি দেখবে পার্টির মধ্যে যদি কোন গন্ডগোল থাকে, এত হাজার হাজার প্রার্থী দিয়েছি আমরা কোথাও কোন গন্ডগোল হয়েছে, আর তৃণমূলের পাড়ায় পাড়ায় গন্ডগোল, বিজেপি কর্মীরা ডিসিপ্লিন মানে। দু-এক জায়গায় প্রার্থী দিলেও দলের কথায় তারা প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিয়েছে, কর্মীরা চাইছে তৃণমূলকে হারাক,আর হারাবো আমরা,এই দিন এমনটাই বললেন দিলীপ ঘোষ।
Home রাজ্য দক্ষিণ বাংলা কান মোলা খেতেই হিংসা নিয়ে স্বীকার করেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশন,খড়্গপুরের বোগদা থেকে...