বিধায়ককে উপহার দেওয়া গাড়ি ফিরিয়ে নেওয়ার পরেই গ্রেপ্তার তৃণমূল নেতা তাপস দাস।

0
277

মনিরুল হক, কোচবিহার: গ্রেপ্তার হলো তৃণমূল প্রাক্তন প্রধান তথা তৃণমূল নেতা তাপস দাস। আজ তাকে দিনহাটার একটি হোটেল থেকে আটক করেন। পাশাপাশি তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বাড়ির মহিলাদের হেনস্তার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। আগামী কাল তাকে আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী তথা স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ’র সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল তাপসবাবুর। সম্পর্ক এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে গতকাল বিধায়ককে উপহার দেওয়া গাড়িও ফিরিয়ে আনেন তাপসবাবু। শুক্রবার দিনহাটা মহকুমা আদালতে হাজির হয়েছিলেন তিনি। এদিন বড়শাকদল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রথম খন্ড লাঙ্গুলিয়া এলাকায় তাঁর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। বাড়ি তছনছ করার পাশাপাশি তাপসবাবুর স্ত্রী ও মেয়ে সহ বাড়িতে থাকা মহিলাদের মারধর, শারীরিক নির্যাতন ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। বাড়ির সামনে থাকা দলীয় কার্যালয়েও পুলিশ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ।

পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন থেকেই তাপসের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছিল। এদিন সকাল থেকেই দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের ঘাটপার এলাকায় তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। শুক্রবার তাঁকে দিনহাটা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তারপরই সাহেবগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে জেলা পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের স্পেশাল টিম।

স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সুরজিৎ দাস জানান, তাপস দার পুরোনো কিছু মামলার ওয়ারেন্ট ছিল। সেই মামলার হাজিরা দিতে দিনহাটা মহকুমা আদালতে যান। কিন্তু সব হাজিরা দেওয়া হলেও একটি মামলার হাজিরা বাকি ছিল। ওই মামলা আধ ঘণ্টা পর হবে বলে আদালতের তরফে জানানো হয়। সেই সময়ই খেতে যান তাঁরা। সেই সময় হোটেল থেকে বিদায়ী প্রধান তথা তৃণমূল যুবর দিনহাটা ২ ব্লক কমিটির প্রাক্তন সহ সভাপতিকে গ্রেপ্তার করে সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ।

এদিন এবিষয়ে তাপস দাসের স্ত্রী অনিতা দাস জানান,গতকাল মন্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য হয়েছিল। সব সময়ই উদয়নবাবু তাঁর স্বামীর সঙ্গে খারাপভাবে কথা বলেন,হেয় করেন। কাল কিছু হয়েছিল। সেজন্যই মন্ত্রীকে উপহার দেওয়া গাড়িটি ফিরিয়ে নিয়ে আসে তাঁর স্বামী। এদিন পুলিশ বাড়িতে এল। বাড়িতে কেন তাণ্ডব চালানো হল, জানা নেই। যদিও এবিষয়ে খবর লেখা পর্যন্ত উদয়ন গুহ ও পুলিশের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।