শান্তিপুর ব্লকের বেলঘড়িয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির সমিতির প্রার্থীকে ফোন করে তুলে নিয়ে আসার হুমকি।

0
326

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- বিজেপির সমিতির প্রার্থীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি। হুমকির অভিযোগ বিদায় তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে। হুমকির অডিও ভাইরাল হতে শুরু রাজনৈতিক চাঞ্চল্য। এখন রীতিমতো প্রাণহানির আশঙ্কায় ভুগছেন বিজেপি প্রার্থী। নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের বেলগড়িয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। বেলগড়িয়া দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান দীপক মন্ডলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। উল্লেখ্য নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে বিরোধীরা সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলছেন। কোথাও মনোনয়নপত্র জমা না দেওয়ার জন্য হুমকি। আবার মনোনয়নপত্র তুলে নেওয়ার জন্য বিরোধী প্রার্থীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। ঠিক সেই মত শান্তিপুর ব্লকের বেলঘড়িয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির সমিতির প্রার্থীকে ফোন করে তুলে নিয়ে আসার হুমকি দিল ওই অঞ্চলেরই বিদায়ী প্রধান দীপক মন্ডল। সেই অডিও ভাইরাল হতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির সমিতির প্রার্থী গোবিন্দ রাজবংশীর অভিযোগ, এর আগের বিধানসভা ভোটেও বিজেপি করার অপরাধে তার বাড়ি ভাঙচুর চালায় শাসক দলের দুষ্কৃতীরা। ওই এলাকায় তৃণমূলের সমর্থন দিন দিন কমে যাওয়ার কারণে তাকে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান করানোর জন্য একাধিকবার শাসানি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কর্ণপাত করেনি গোবিন্দ রাজবংশী। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি বিজেপির প্রার্থী হয়ে সমিতিতে লড়াই করছেন। সেই কারণে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। এর পাশাপাশি তিনি বলেন বর্তমানে তিনি প্রাণ নাসের আশঙ্কায় ভুগছেন। এবং প্রচন্ড আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটছে তার। অন্যদিকে ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে বিদায় তৃণমূল প্রদান দীপক মন্ডল বলেন, আমি ওই এলাকায় পুনরায় পঞ্চায়েত প্রার্থী হিসেবে তৃণমূল হয়ে লড়াই করছি। কিন্তু বিজেপির সমিতির প্রার্থী গোবিন্দ রাজবংশী আমার এলাকায় এসে আমার নামে কু প্রচার করছেন। মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে আমাকে। সেই কারণেই আমি বারংবার তাকে বলেছি আমার বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার করা হচ্ছে তার প্রমাণ দিতে। কিন্তু সে আমার সঙ্গে দেখা করছে না। এরপরে তিনি হুমকির সুরে বলেন, দেখা তাকে করতেই হবে প্রয়োজনের তুলে নিয়ে আসব। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।