কোচবিহার, নিজস্ব সংবাদদাতা: – অশান্ত’ কোচবিহারকে শান্ত করার বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু জেলায় তিনি থাকাকালীনই ফের উত্তপ্ত হয়েছে কোচবিহারের গীতালদহ। আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মাফুজার রহমান। গুরুতর আঘাত নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আক্রান্ত তৃণমূল নেতাকে দেখতে রবিবার সকালেই বেসরকারি হাসপাতালে হাজির হলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। গীতলদহে খুন হওয়া আরেক তৃণমূল কর্মীর পরিবারের সঙ্গে রাতেই ফোনে কথা বলেন তিনি। তবে রাজ্যপালের এই ভূমিকা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, গীতালদহ-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোরাম এলাকায় গীতালদহের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মাফিজুর রহমান এবং দুই তৃণমূল কর্মীকে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারধর এবং অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাত ১২টা নাগাদ। তৃণমূলের অভিযোগ, ওই এলাকায় তাদের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী খলিল মিয়ার ছেলেকেও বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আটকে রাখেন। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি এবং দলের কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করতে গেলে বিজেপির লোকজন তাঁদের উপর হামলা চালান এবং তাদের তুলে নিয়ে গিয়ে হাত-পা বেঁধে মারধর করেন বলে অভিযোগ। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। আহতদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের কোচবিহারের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁরা। এই খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে ছুটে যান তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব।
খবর পেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার ও জেলা পুলিশ সুপারকে ফোন করেন রাজ্যপাল। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা ও শান্তিতে ভোট করানোর বার্তা দেন তিনি। এরপর রবিবার সকালে সশরীরে হাসপাতালে হাজির হয়েছেন রাজ্যপাল। আক্রান্ত তৃণমূল নেতার শারীরিক খোজ খবর নেন। এবং সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেন। তবে রাজ্যপালের কোচবিহারের সফরের মাঝেই কোচবিহারের পঞ্চায়েত ভোটের হিংসার ঘটনায় উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছেন তিনি।