দক্ষিণ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- আত্রেয়ীতে দেওয়া স্বল্প উচ্চতার বাঁধের কাজ নিম্নমানের হওয়ায় এলাকায় তৈরি হয়েছে ভাঙ্গনের আশঙ্কা। নদীগর্ভে যেতে শুরু করেছে এলাকার বাধ রাস্তা। এদিন এমনই অভিযোগ তুলে এলাকায় বিক্ষোভ দেখায় একদল স্থানীয় বাসিন্দা। আর ওই সময় এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূলের বুথ প্রেসিডেন্ট ও এলাকার কাউন্সিলরের স্বামী। অভিযোগ, তাদের মারধর করা পর্যন্ত হয়েছে। তৃণমূল বুথ প্রেসিডেন্ট নকুল মল্লিকের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বিশ্বজিৎ রায় নামে এক বিজেপি কর্মীকে আটক করলে এলাকায় রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে বালুরঘাট শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের চকভৃগু ডাকরা এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বাধ এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে সিভিক কর্মীদের।
প্রসঙ্গত, বালুরঘাটে জল সমস্যা মেটাতে আত্রেয়ীর বক্ষে স্বল্প উচ্চতার বাধ তৈরী হয়েছে। খরাতে সমস্যা না হলেও, বর্ষাতে নদী বর্তমানে ফুলেফেপে উঠেছে। বাধের রাস্তাটি ভাংগনের মুখে পড়া ও বাধের নতুন সিড়ির ধার ঘেষে ফাটল ধরা নিয়ে এলাকায় কয়েক দিন ধরে ক্ষোভের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। রাস্তা ভাঙ্গনের মুখে পড়ায় চলাচলসহ অন্যান্য নানা অভিযোগে পৌরসভার উপরে ক্ষোভে ফুশছে এলাকা বাসী। এদিন সকালে ওই বাধ এলাকাতে প্রচুর মানুষের ভিড় জমে। তখনই এলাকাবাসী সেখানে নিম্নমানের কাজ নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। ওই খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে যান এলাকার তৃণমূলের বুথ সভাপতি তথা পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড সুপারভাইজার নকুল মল্লিক ও এলাকার কাউন্সিলর অনুশ্রী মহন্তের স্বামী পামির কুমার দাস। তাদের সামনে পেয়েই বিক্ষোভ আরও মাত্রা ছাড়ায়। একসময় তা হাতাহাতিতে পৌঁছে যায়। এই নিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। করে প্রেসিডেন্টের অভিযোগের ভিত্তিতে এক বিজেপি কর্মীকে আটক করা হয়।
বিশ্বজিৎ রায় নামে ওই বিজেপি কর্মীর স্ত্রী মৌসুমী পাল রায় বলেন, আমরা বিজেপি করি বলে,তৃণমূল আমাদের শত্রু মনে করে। নিন্মমানের বাঁধের কাজ, রাস্তা ভাংগন এসব নিয়ে এদিন কাউন্সিলর এর স্বামী ও সুপারভাইজার কে বলতে গেছিল আমার স্বামী ও অন্যান্যরা। তখন আমার স্বামীকে ওরা ধরে বেধরক পেটায়। পরে ওকেই পুলিশ গ্রেপ্তার করে। আমিও থানায় পালটা অভিযোগ জানাব।
বাইট মৌসুমী কালরায়
সঞ্জয় রায়