মহিষাদল-পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- মাঠ রাজনীতি এবার মহিষাদলেও? শুভেন্দু অধিকারীকে সভা করতে বাধা তৃণমূলীদের। গা জোয়ারি করে বিজেপিকে মাঠ না দেওয়ার অভিযোগ। মহিষাদলের ইতিহাসে এমন ঘটনা এই প্রথম। যদিও গনমৈত্রী মাঠ না পেলেও মহিষাদলে আজ শুভেন্দু অধিকারীর সভা বন্ধ হচ্ছেনা। সভা হবে সতীশ সামন্ত হল্ট স্টেশন পার্শ্ববর্তী সোনালি শিবিরের মাঠে।*
আজ পর্যন্ত মহিষাদলে কোনদিন যা হয়নি, তাই করা হলো মহিষাদলের বাসুলিয়ায়। এবং করা হলো গা জোয়ারি করেই।
পুলিশের অনুমতি নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভা করতে গিয়ে বিজেপিকে বাধা পেতে হলো।
বাসুলিয়া গনমৈত্রী মাঠে শুভেন্দু অধিকারীর সভা করতে আজ বাধা দিলো গনমৈত্রী ক্লাবের তৃণমূলীরা। যদিও মাঠটির মালিক ওই ক্লাব নয়। মাঠটি বাসুলিয়া গ্রামেরই নিজস্ব মাঠ। তবুও গা জোয়ারি করেই আজ বিজেপিকে সভা করতে বাধা দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ, আসলে গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা, অধুনা বাসুলিয়ায় এসে বসবাসকারী প্রদীপ মাজী, যে কিনা সতীশ সামন্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তাঁর অঙ্গুলিহেলনে আজ গনমৈত্রী মাঠে সভা মঞ্চ বাঁধতে দেওয়া হয়নি।
তৃণমূল নেতা এবং গ্রাম প্রধান প্রদীপ মাজীর পাশাপাশি এক রেশন ব্যবসায়ী মানস বক্সিও বাধা দেওয়ার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ উঠেছে। রেশন ডিলার মানস বক্সির বিরুদ্ধে আবার দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি তৃণমূল পরিচালিত পুর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ আলি মানসের রেশন দোকানে হানা দিয়ে বেশকিছু অনিয়ম দুর্নীতি হাতেনাতে ধরে ফেলেছিলেন। ভিন গ্রামের মানুষ তৃণমূলী প্রধান প্রদীপ মাজী এবং ভিন্ন গ্রাম হাজরাপোতা থেকে বাসুলিয়ায় আসা আর এক মাতব্বর প্রতাপ মাইতি এবং জেলা প্রশাসনের দপ্তরের কর্মী বাপী ওরফে সুদীপ্ত বোয়ালরা মিলেই বিজেপিকে বাধা দেওয়ার কাজটা করেছে বলে অভিযোগ।
অথচ গনমৈত্রীর এই মাঠে রাজনৈতিক অরাজনৈতিক সব প্রোগ্রাম বছর বছর ধরে হয়ে আসছে।
সুভাষ চক্রবর্তী থেকে লক্ষ্মণ শেঠ। স্থানীয় নেতারা সভা করেছে এই মাঠে।
চড়ক গাজন, লোক সংস্কৃতি উৎসব সহ বহু অনুষ্ঠানই এই মাঠে হয়। হয়ে আসছে। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর বেলায় এমন বাধা দেওয়ার ঘটনা কেন?
ভয়, স্রেফ ভোট রাজনীতির কারনেই তৃণমূলীরা এই কাজ করলো। এবং মহিষাদলে এই প্রথম এমন ঘটনা বলে বিজেপি অভিযোগ করেছে। বিজেপি স্থানীয় জেলাপরিষদ প্রার্থী ইন্দ্রদীপ ভৌমিকের অভিযোগ, কতিপয় লোকের জন্য মহিষাদলের সম্মান ক্ষুন্ন করা হলো। এরজন্য তাদের পোস্তাতে হবে, যারা মাঠ রাজনীতি করে মহিষাদলের পরিবেশকে দূষিত করলো।
এদিকে, তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।