জাতীয় সাহিত্য একাডেমী যুব পুরস্কার পেল,এক সময়ের রাজমিস্ত্রি হামিরউদ্দিন।

0
1195

আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ অভাবের সংসারে,পেটের দায়ে একসময় ভিন রাজ্যে রাজমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতে যায় বাঁকুড়ার হামিরুদ্দিন মিদ্দা। কখনো দেখা যেত হাটে বাজারে মনোহারি দ্রব্য বিক্রি করতে। বর্তমানে বাবার সাথে কৃষিকাজ করেন তিনি।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার পর হামিরুদ্দিনের মধ্যে জন্মায় গল্প লেখার তাগিদ। মূলত বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাঁদের পাহাড় পড়ে এক প্রকার “থ” হয়ে যায় হামিরুউদ্দিন। তারপর থেকে লেখালেখি শুরু, তিনি যেখানে যা পারত লিখে রাখতে ।
এক সময় কেরালা যায় রাজমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতে কিন্তু সেখানকার পরিবেশ এবং পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি তাকে লিখতে বাধা দিচ্ছিল তাই আর থাকতে না পেরে গ্রামেই ফিরে আসেন হামিরউদ্দিন। বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী থানার অন্তর্গত প্রত্যন্ত রূপপাল গ্রামের বাসিন্দা, হামিরুদ্দিন মিদ্যা। বাবার নাম হানিফ মিদ্দা ও মায়ের নাম আজমিরা বিবি। ২৬ বছর বয়সে তার লেখা “মাঠরাখা” নামক ছোট গল্প বইয়ের জন্য ২০২৩ সালের জাতীয় সাহিত্য একাডেমী যুব পুরস্কার পেলেন হামিরউদ্দিন মীদ্যা।

তার ইচ্ছে সারা জীবন গ্রাম বাংলার মাঠে খেটে খাওয়া প্রান্তিক মানুষদের গল্প লিখবেন তিনি। নিজেও মাঠে কাজ করেন । মাঠে কাজ করতে করতেই মাথায় গল্প আসে তার। বাড়ি ফিরেই সব কাজ ফেলে গল্পটি লিখে রাখেন তিনি।

তারই ছোট্ট গল্পগুচ্ছ “মাঠরাখা” চরিত্রগুলি তার আশেপাশের থেকেই উঠে এসেছে