নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হল বিজেপির রাজ্য নেতা রাজেশ মিশ্র সহ বিজেপির কর্মীরা। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার খাতড়া বাজার এলাকায় অবস্থিত মন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে। এ দিয়ে খাতড়া থানায় একাধিক তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ একেবারে অস্বীকার করেছেন বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা মুখপাত্র মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত।।
বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় বুধবার প্রায় সাড়ে এগারোটা নাগাদ খাতড়ার রাজাপাড়া মোড় এলাকায় বিজেপির একটি নির্বাচনী পথসভা ছিল। সেই সভায় যোগ দেওয়ার আগে খাতড়া বাজার এলাকায় অবস্থিত রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির কার্যালয়ের সামনে একটি দোকানে খেতে যান বিজেপির রাজ্য নেতা সহ অন্যান্য বিজেপির কর্মীরা। হঠাৎই সেই সময় একদল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদের উপর আক্রমণ চালায় বাঁশ, রড ও লাঠি দিয়ে। তাদেরকে বেধড়ক মারধর করা হয়, মারধরের পাশাপাশি ছিড়ে ফেলা হয় বিজেপির রাজ্য নেতার পাঞ্জাবি। এর পরেই তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর খাতড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে।
অন্যদিকে সন্ধ্যার মধ্যে চিহ্নিত তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করা না হলে বিজেপির পক্ষ থেকে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয় বিজেপি কর্মীদের পক্ষ থেকে।
অন্যদিকে বিজেপির আনা তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ একেবারে অস্বীকার বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র মহাপ্রসাদ সেনগুপ্তের। তিনি বলেন এটি বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। কোন এক নেতাকে তাদের সভায় বক্তব্য দেওয়ার জন্য এনেছিল তবে তাদের অন্য গোষ্ঠীর লোকজন ওই নেতাকে তারা নেতা হিসাবে মানতে না পেরে। তারা ঐ বিজেপি নেতাকেই ঠেলাঠেলি করেছিল। তৃণমূলের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই এই ঘটনায়। সম্পূর্ণ বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রকাশ এটি।