অবশেষে ৫১ দিনের মাথায় প্যারিস থেকে মৃত ছাত্রের দেহ ফিরলো কোলাঘাটে।

0
238

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  গত ২৩ শে মে ভিনদেশে পড়াশুনো করতে গিয়ে মৃত্যু হয়ে ছিলো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ব্লকের দেউলিয়া গ্ৰামের ছাত্র শমীক মাইতি(৩১)। ক্যামপিউটেশানাল ফুইটস ম্যাকানিকস্কে ৯ স্থান দখল করে প্যারিসের কসবাড ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনার জন্য ১লা মে বাড়ি থেকে প্যারিসের উদ্দেশ্য যায়। কিন্তু প্যারিস বিমানবন্দরে পৌঁছেতেই তার শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর বিমানবন্দর থেকে তাকে প্যারিসের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। গত ২৩ শে মে খবর আসে তাদের ছেলে মারা গিয়েছে। এরপর পরিবার বিভিন্ন দপ্তর এবং ভারতীয় দূতাবাস এবং প্যারিসের দূতাবাসে যোগাযোগ করেও কোনো সুরাহা পায়নি মৃতের পরিবার। পরে প্যারিস দূতাবাস থেকে জানানো হয় যে মৃতদেহ বাড়িতে আনতে আনুমানিক ৬ লক্ষ টাকা দিতে হবে। কিন্তু পরিবারের পক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা খরচ করে ছেলের মৃতদেহ আনা কোনো ভাবেই সম্ভব হয়ে ওঠে না।এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দ্বারস্থ হন। শুভেন্দু অধিকারী এবং বিদেশ মন্ত্রকের সহায়তায় আজ ১৩ ই মে কফিনবন্দী দেহ দেউলিয়ায় তার বাড়িতে ফিরলো। একেবারে ৫১ দিনের মাথায় মৃত ছাত্রের পরিবার দেহ হাতে পেলো রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সহযোগিতায়। তার প্যাডে বিদেশ মন্ত্রীকে চিঠি করেন। এমনকি মৎস্য মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী এবং তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর সহায়তা ছিলো বলে দাবি করেন ছাত্রের পরিবার। আবেদন জানান মৃতের পরিবার। তারা আরো জানান, বিদেশ থেকে এদেশে মৃতদেহ ফিরিয়ে আনার জন্য যে ছয়লক্ষ টাকার বেশী অর্থ প্রয়োজন ছিলো তা ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের সহযোগিতায় কোন অর্থ লাগেনি ছাত্রের পরিবারের।তনে প্যারিস থেকে ৫১ দিনের মাথায় মেধাবী ছাত্র শমীক মাইতির দেহ তার পরিবার হাতে পান দেহ। দেহ আসার পরই কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার ও প্রতিবেশীরা।