কোচবিহার, নিজস্ব সংবাদদাতা:- কলেজে গিয়ে অধ্যক্ষকে প্রাণনাশের হুমকি দিল দুষ্কৃতীরা! ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার-২ এর বাণেশ্বর সারথিবালা মহাবিদ্যালয়ে। ওই ঘটনায় আতঙ্কিত হযে পড়েছেন অধ্যক্ষ নরেন্দ্রনাথ রায়। তবে নরেন্দ্রনাথবাবু শুধু কলেজের অধ্যক্ষই নন, তিনি রাজবংশী এমপ্লয়িজ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিশনের সভাপতির পদেও রয়েছেন। ঘটনার কথা জানার পর রবিবার সংগঠনের বেশকিছু প্রতিনিধি নরেন্দ্রনাথবাবুর বাড়িতে যান। সেখানে তাঁরা একটি মিটিংও করেন। বিষয়টি নিয়ে বুধবার সংগঠনের তরফে কোচবিহারে একটি মিটিং ডাকা হয়েছে। সেখানে তাঁরা এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি কলেজের এক অস্থায়ী কর্মীকে স্থায়ী করার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই কলেজের অধ্যক্ষের ওপরে চাপ সৃষ্টি করে আসছিলেন তৃণমূলের ব্লক স্তরের কিছু নেতা-কর্মী। এই অবস্থায় একই দাবিতে দু’দিন আগে কলেজে গিয়ে দু-তিনজন দুষ্কৃতী অধ্যক্ষকে গালিগালাজ করার পাশাপাশি প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। যদিও তৃণমূলের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এদিকে আতঙ্কে শনিবার রাতে নরেন্দ্রনাথবাবু নিজের প্রাণহানির আশঙ্কা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি খোলা চিঠি পোস্ট করেন।
তাতে অধ্যক্ষ লেখেন, ‘আমার জীবনের আয়ু হয়তো আর বেশিদিন নেই। সম্প্রতি চরম অপদস্থ হই এবং এমন হুমকি পাই। আসলে নিয়মে থাকতে চেয়ে সমাজের বড় বড় ক্ষমতাবান ব্যক্তির দ্বারা আমি যড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছি।’ ওই চিঠিতে তিনি আরও লিখেছেন, ‘কলেজে ন্যাক করানোর জন্য একটা নতুন ভবনের প্রয়োজন। যে কোনওভাবে চেষ্টা করেছি একটা ঘর পাওয়ার। কিন্তু কে শুনবে একজন টিআইসি/প্রিন্সিপালের কথা। এখন দেখছি কলেজকে ভালবাসতে গিয়ে আমার প্রাণনাশ হতে পারে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি সমাজের পচনশীল ব্যক্তির কাছে মাথা নত করব না। তাতে যা হবার হবে।’
এদিন এবিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ নরেন্দ্রনাথ রায় বলেন, আমি বিষয়টা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টা দেখতে পাই। তারপর বিষয়টা নিয়ে আমরা একটা মিটিং ডেকেছি আগামী বুধবার। সেই মিটিং বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। সেখান থেকে কি সিদ্ধান্ত হয় বা তারা নেন সেই পথে আমি হাঁটবো। যারা আমার বিরুদ্ধে যারা এটা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো এবং পুলিশের দ্বারস্থ হবো।