দক্ষিণ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- দণ্ডি কান্ডের শিরোনামে উঠে আসা তৃণমূল প্রার্থী শিউলি মার্ডির জয়ে ফের মুখ পুড়ল বিজেপির। বিরোধী গেরুয়া শিবিরের নিত্য উস্কানির পরেও আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামে জয় এসেছে তৃণমূলের। এদিকে জয়ের পরে বিজেপিকে কার্যত একহাত নিয়েছেন তৃণমূলের নির্বাচিত ওই সদস্য।
এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে তপন ব্লকের গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েয়েতের চকবলিরাম সংসদ থেকে শিউলি মার্ডি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তৃণমূলের হয়ে। সেখানে তিনি ১০৫ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন বিজেপি প্রার্থীকে। এত উস্কানির ও কুৎসার পরেও ওই এলাকায় শিউলি তথা তৃণমূল প্রার্থীর জয়ে বিজেপি অনেকটায় ব্যাক ফুটে গেল দণ্ডি ইস্যুতে।
শিউলি বলেন, বিরোধীরা একটি ইস্যু নিয়ে অপপ্রচার ও কুৎসা চালিয়ে গিয়েছেন। তার পরেও এই গ্রামে আমাদের সম্প্রদায়ভূক্ত মানুষরা তৃণমূলকে বেছে নিয়েছে। এতেই প্রমান হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ভরসা করে আমাদের সমাজ। আমি গ্রামের মানুষের জন্য নিষ্ঠা সহকারে কাজ করব।
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসের শুরুতে বিজেপিতে গিয়েছিলেন গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের শিউলি মার্ডি, মার্টিনা কিস্কু, সহ বেশ কয়েকজন মহিলা। পরেরদিন তারা ফের তৃণমূলে যোগ দেন। তৎকালীন জেলা মহিলা তৃণমূল জেলা সভাপতির প্ররোচনায় শিউলি সহ তিন আদিবাসী মহিলা রাস্তায় দন্ডি কাটেন প্রায়াশ্চিত্ত করতে। এনিয়ে সরগরম জয় জেলার রাজনীতি। আসরে নামে বিজেপি সহ কিছু আদিবাসী সংগঠণ। দণ্ডি কাটিয়ে আদিবাসী সমাজকে অপমান করা হয়েছে বলে বিজেপি নিয়মিত উস্কানিমূলক প্রচার করে। এনিয়ে তৃণমূলকে ওই এলাকায় কোনঠাসা করার চেষ্টা করা হয়। কিন্ত ওই তিন আদিবাসী মহিলার মধ্যে শিউলিকে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী করে তৃণমূল। বিজেপি ও বাম প্রার্থীকে পেছনে ফেলে জয়ও ছিনিয়ে নেয় শিউলি। স্বাভাবিকভাবেই ওই এলাকায় মুখ পুড়ল বিজেপির।