জলপাইগুড়ি‌র তৃণমূল যুব জেলা সভাপতি ও পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চ‍্যাটার্জি‌র গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল আদালত।

0
233

জলপাইগুড়ি, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ-জোড়া আত্মহত্যা কান্ডে আগাম জামিন খারিজ পর জলপাইগুড়ি‌র তৃণমূল যুব জেলা সভাপতি ও পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চ‍্যাটার্জি‌র গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল আদালত। জানা গেছে জলপাইগুড়ি চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর কাছে সৈকতকে গ্রেপ্তার করতে চেয়ে আবেদন করেন তদন্তকারী অফিসার সেই আবেদন মঞ্জুর হয় মঙ্গলবার।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত প্রায় একমাস আগে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁর আগাম জামিন খারিজ করে দেয়। পাশাপাশি জামিন মঞ্জুর হয়নি এই মামলার অন্য অভিযুক্ত মনোময় সরকারেরও।

এই প্রসঙ্গে অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী সন্দীপ দত্ত জানান, তারা এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তারপরেও তদন্তকারী অফিসার কেন প্রথমে ৪১ নোটিশ পরে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করলো বিষয়টা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। চ্যাটার্জী নিজে একজন আইনজীবী তুমি ফেরার নয় আইন মেনে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১লা এপ্রিল জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তণ ভাইস চেয়ারম্যান এবং তার স্বামীর সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা করার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল রাজ্য জুড়ে।
মৃত অপর্ণা ভট্টাচার্য এবং সুবোধ ভট্টাচর্য্যের নিকট আত্মীয় সুবোধবাবুর দিদি এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জলপাইগুড়ি পৌরসভার বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান তথা জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় সহ চারজনের বিরূদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য হাইকোর্টের কড়া নির্দেশের পর অন্য ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও সৈকতকে গ্রেপ্তার করে নি পুলিশ। এর মাঝে ইন্টিরিম প্রোটেকশন দাবি করে হাইকোর্টে এপিল করে সৈকত আপাতত এরেস্ট নয় পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বলে মত দেয় হাইকোর্ট সেইমতো জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এরপর পুলিশের বিভিন্ন মহলে,তদন্তকারী অফিসারকে আত্মঘাতী দম্পতির একমাত্র কন্যা অভিযোগ করেন তাকে ক্রমাগত ভয় দেখাচ্ছে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে সৈকত চ্যাটার্জী সহ অন্য অভিযুক্তরা এর পরই হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তকারী অফিসার বদল ও এডিজি পদমর্যাদা কে জয়রমন কে তদন্তের দায়িত্ব দেয় হাইকোর্ট। মঙ্গলবার এই কেসে পুলিশ সৈকত চ্যাটার্জিকে গ্রেফতার করতে পারবে এই আদেশ দেন জলপাইগুড়ি চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট। কংগ্রেসে থাকাকালীন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ ও জলপাইগুড়ির প্রাক্তন বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায়ের অনুগামী বলে পরিচিত সৈকত তাকে ধরেই সুপ্রিম কোর্টে কংগ্রেস নেতা ও বিশিষ্ট আইনজীবী কপিল সিব্বালকে দিয়ে শামীমের আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে। যা নিয়ে সাধারণ কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে বলে খবর। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে এই রায় জানার পর মৃত দম্পতির একমাত্র মেয়ে জানান এই রায়ে খুশি তিনি তবে শুধু গ্রেপ্তার নয়অভিযুক্তদের শাস্তি চান তিনি।।