নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- গোটা জেলা জুড়ে ক্রমশ বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু সচেতনতা নেই মানুষের মধ্যে। কোথাও অপ্রয়োজনীয় চৌবাচ্চায় জমে রয়েছে বৃষ্টির জমা জল। আর সেই জল পঁচে জন্মাচ্ছে মশার লার্ভা, আর সেখান থেকেই ছড়িয়ে পড়ছে মশার উপদ্রব। যদিও মশার উপদ্রব কমাতে ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঘুম উড়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরের। এবার পৌরসভার পক্ষ থেকে নেওয়া হলো কড়া পদক্ষেপ। এদিন শান্তিপুর ৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি পরিত্যক্ত জায়গায় বেশ কয়েক বছরের প্রাচীন চৌবাচ্চায় জমা ছিল বৃষ্টির জল, আর সেই জলে অসংখ্য মশার লাভা জন্মায়। সূত্রের খবর ওই চৌবাচ্চাটি তৈরি করেছিল ওই ওয়ার্ডের সিদ্ধেশ্বর ঘোষ নামে এক ব্যক্তি। এই ঘটনা গোপন সূত্রে খবর পায় শান্তিপুর পৌরসভার প্রতিনিধিরা। আজ সকাল হতেই ওই চৌবাচ্চার চতুর অংশ ভেঙে ওই জমা পচা জল বের করে দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে ওই এলাকার বাসিন্দা সিদ্ধেশ্বর ঘোষকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, হাতে সময় পেলে তিনি চৌবাচ্চাটি মাটি দিয়ে ভরাট করে দিতেন, কিন্তু পৌরসভার পক্ষ থেকে যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা তিনি জানেন না। অন্যদিকে শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ জানিয়েছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে এখন থেকে এই ভাবেই কড়া পদক্ষেপ নেবে পৌরসভা। এছাড়াও গোটা শান্তিপুর বাসিকে অবগত করার জন্য এখন থেকে ২৪টি ওয়ার্ড জুড়ে চলছে মাইকিং প্রচার। চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ এও জানিয়েছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে শুধু শান্তিপুর পৌরসভার একা দায়িত্ব নয় এগিয়ে আসতে হবে গোটা শান্তিপুর বাসী কেই।