পঞ্চায়েত নির্বাচনে ‘সন্ত্রাস এবং ভোট লুট ও পুনঃ নির্বাচন দাবিতে বিডিও অফিস ঘেরাও কর্মসূচি করলো কোচবিহার জেলা বিজেপি।

0
175

কোচবিহার, নিজস্ব সংবাদদাতা: সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ‘সন্ত্রাস এবং ভোট লুট ও পুনঃ নির্বাচন দাবিতে বিডিও অফিস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি করলো বিজেপি। শুক্রবার দুপুরে কোচবিহার ১নং ব্লকের ধলুয়াবাড়ি বিডিও অফিস ঘেরাও কর্মসূচি করেন। এদিন বিজেপির নেতা কর্মীরা মিছিল করে ডেপুটেশন দিতে আসেন। সেই মিছিল আটকাতে গেলে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি ও পুলিশের দেওয়া ব্যারিগেট ভাঙার চেষ্টা করে। পরে তাদের আটক করলে পথ অবরোধ করে অবস্থান বিক্ষোভ করেন বিজেপির কার্যকর্তারা। এদিন এই বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বোস, মিনতি দাস ঈশোর, দীপা চক্রবর্তী, অর্পিতা নারায়ণ সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্বরা।

এদিন এবিষয়ে কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে বলেন,,, সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল যেভাবে সন্ত্রাস করেছে বা ভোট লুট করেছে তা গোটা রাজ্যের মানুষ দেখেছে। সেই ভোট লুঠ ও সন্ত্রাস এবং পুনরায় নির্বাচন করার দাবিতে সারা রাজ্যের সাথে কোচবিহার ১ নং ব্লকের বিডিও অফিস ঘেরাও কর্মসূচি আমরা নিয়েছি। সেই কর্মসূচিতে আমরা শান্তি পূর্ণ ভাবে মিছিল করে বিডিও অফিসে আসছিলাম। সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর দলদাস পুলিশ আমাদের আটক করে। আমাদের সাথে ধস্তাধস্তি করে। বিডিও অফিসে ঢুকতে বাধা দেয়। পরে আমরা রাস্তায় বসে অবস্থান বিক্ষোভ করি। পরে আমরা জানতে পারি বিডিও সাহেব ভয় পেয়ে আসেন নি। তাই আমরা তাকে অন্য আধিকারিকের মাধ্যমে আমাদের দাবি গুলো জানানোর চেষ্টা করছি।

পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ভোটের দিন আমাদের কর্মীরা যখন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হচ্ছে, পুলিশকে ফোন করা হয়, বিডিও কে ফোন করা হয়। তারা ফোন তোলেন নি। আজ যখন আমরা বিডিও অফিস ঘেরাও কর্মসূচিতে এসেছে কয়েকশো পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটের দিন তো তাদের দেখা যায়নি। পুলিশ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করেন নি। আজ আমাদের ডেপুটেশন কে কেন্দ্র করে এতো পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেন। এত সব যদি পুলিশ ভোটের দিন এতো সক্রিয় হতেন তাহলে হয়তো এত মায়ের কোন খালি হতো না। আসলে রাজ্য পুলিশ তৃণমূলের দল দাসে পরিণত হয়েছে বলে জানান বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে।