আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ প্রচলিত সমস্ত নিয়মেরই ব্যতিক্রমী কাজকর্ম করাটাকে মানুষ্য সমাজ যেমন অভ্যাসে পরিণত করেছে ঠিক সেইরূপ প্রকৃতিও একের পর এক পাল্টা দিতে শুরু করেছে।
খামখেয়ালী মানুষের মতই প্রকৃতিও চরম খামখেয়ালী আচরণে ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে।
গত গ্রীষ্মকালে লাগামছাড়া তাপমাত্রা ও তাপপ্রবাহে পুড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষকে আবার সেই রূপ বর্ষাকালের স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের চিরাচরিত নিয়মের ব্যতিক্রমী আচরণ দিন দিন প্রকট হয়ে উঠছে, যদিও আষাঢ়, শ্রাবণ মাসকে বর্ষাকাল বলেই জানে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ।
বর্ষায় সে অর্থে বৃষ্টি দেখা যায়নি দক্ষিণবঙ্গে। বর্ষার বৃষ্টি না হলে খাদ্য ভান্ডারের যে চরম ঘাটতি দেখা দেবে তার প্রভাব পড়বে সমাজের সর্বস্তরে,।
বিগত বেশ কয়েকটি বর্ষায় প্রকৃতির খামখেয়ালি আচরণে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে চাষী মহল, যদিও ভারতের অন্যান্য রাজ্য এবং পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গ জলে ভাসছে কিন্তু সেই অর্থে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার বৃষ্টি দেখা যায়নি অবশ্য মাঝেমধ্যে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতে চাষের জমি ভিজছে বটে তবে সেই বৃষ্টি চাষের উপযোগী নয়। শুরু থেকেই বর্ষার খামখেয়ালিপনা চলছে। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে চরম সমস্যায় কৃষকরা আর সেই চিত্র দেখা গেল বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের বিভিন্ন এলাকায়। কোথাও কোথাও আবার মিনি বা ডিপ টিউবওয়েল পাম্প চালিয়ে জমিতে জল দিতে দেখা যাচ্ছে কৃষকদের কিন্তু যেখানে মিনি বা ডিপ-টিউবওয়েল সেই সব জায়গায় এখনো চাষবাস শুরুই করা যায়নি সে রকম চিত্রও উঠে আসছে।
চাতক পাখির মতোই অবস্থা দক্ষিণবঙ্গের চাষী মহলের আর সেই একই অবস্থা বাঁকুড়ার ইন্দাসের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে।