নিজস্ব সংবাদদাতা,বাঁকুড়া:- দল বদলের হিড়িক অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়, চলতি মাসে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর তিন তিনটি রাজনৈতিক দলের ফুল বদল কর্মীদের, অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ১২টি আসন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ৬টি দখলে ছিল তৃণমূলের, ৫ আসনের দখল ছিল বিজেপির এবং ১টি দখলে ছিল নির্দলের। পঞ্চায়েত নির্বাচন ফলাফল ঘোষণার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১২ই জুলাই ৪৯ নম্বর আসনের বিজেপির জয়ী প্রার্থী সলমা মুর্মু তৃণমূলে যোগদান করে। তারপরের দিনই ১৩ ই জুলাই ৪৬ নম্বর আসনের আম প্রতীক চিহ্নে নির্দলের জয়ী প্রার্থী শ্যামল ব্যানার্জি বিজেপিতে যোগদান করে। এই শ্যামল ব্যানার্জি অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের বিদায় সদস্য এলাকায় যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে তার, দলের টিকিট না পাওয়ায় নির্দল হয়ে ভোটে দাঁড়ায় এবং জয়লাভ করে । এই ঘটনার বেশ কিছুদিন পেরিয়ে যাবার পর এদিন ওই নির্দলে জয়ী প্রার্থী শ্যামল ব্যানার্জীর হাত ধরে অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপপ্রধান বেলা গায়েন এলাকার ৩০০ পরিবার নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন, বিজেপিতে যোগদান করেই বিজেপির বিজয় মিছিলে কয়েকশো বিজেপি কর্মীদের সাথে পা মেলান ।
তৃণমূলের বিদায়ী উপপ্রধান বেলা গায়েন বিজেপিতে যোগদান করে বলেন তৃণমূলের দুর্নীতির জন্য তিনি বিজেপিতে যোগদান করলেন, তিনি আরো বলেন বিগত বোর্ডে অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান একাধিক দুর্নীতির সাথে জড়িত ছিল তার প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে শাস্তি পেতে হয়, বিজেপিতে এসে তিনি এলাকার উন্নয়ন করবে।
বিজেপির এই যোগদান কে তীব্র কটাক্ষ করেছে শাসক তৃণমূল, বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি দিব্যেন্দু ব্যানার্জি বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন এদের নাটকের এখনো শেষ হয়নি, এরা গোহারা হেরেও এখনো এরা মানুষকে নাটক দেখাতে তৈরি আছে, বিভিন্নভাবে মানুষকে নাটক দেখাচ্ছে। তৃণমূলের কিছু যায় আসে না কে বিজেপিতে গেল কে অন্য দলে গেল, এখন বিজেপি সিপিএম কংগ্রেস এক হয়ে গেছে মানুষ তৃণমূলের সাথে আছে ।