হনুমানের আক্রমণে জখম বহু মানুষ, প্রতিবাদে পথ অবরোধ স্থানীয়দের ।

0
176

আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ – দিনে দুপুরে আক্রমণ চালাচ্ছে হনুমান। পথচারী থেকে হিমঘরের কর্মী কেউই বাদ পড়ছে না। গত কয়েকদিনে একটি হনুমানের আক্রমণে জখম হয়েছেন এলাকার কুড়ি থেকে পঁচিশ জন। আক্রান্ত হয়েছেন এক বনকর্মীও। বাদরটিকে ধরার ব্যাপারে বন দফতরের বৃহত্তর উদ্যোগের দাবীতে সকাল থেকে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন এলাকার আতঙ্কিত মানুষজন। ঘটনা বাঁকুড়ার সোনামুখী শহর লাগোয়া গনগনিডাঙ্গার। যদিও এই পথ অবরোধ উঠতেই আসরে নেমেছে বন দফতর। খাঁচা ও জাল নিয়ে হনুমনটিকে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে বন কর্মীরা।

বাঁকুড়ার সোনামুখী শহরে বেশ কিছু বাদর থাকলেও শহর লাগোয়া গনগনিডাঙ্গা এলাকায় সেভাবে বাদরের উৎপাত চোখে পড়েনি স্থানীয়দের। সম্প্রতি সপ্তাহ খানেক আগে থেকে আচমকাই একটি হনুমান ক্ষেপে ওঠে। জনবহুল ওই এলাকায় হঠাৎ হঠাৎ হনুমানটি আক্রমণ করতে শুরু করে স্থানীয়দের। স্থানীয় বাসিন্দা, গৃহবধূ থেকে শুরু করে পথচলতি মানুষ এমনকি বনকর্মীকেও বাদরটির আক্রমণের শিকার হতে হয় । স্থানীয়দের দাবী হনুমানের নখের আঁচড় ও কামড়ে আহত হয়েছেন এক বন কর্মী সহ এলাকার কুড়ি থেকে পঁচিশ জন বাসিন্দা। আতঙ্কে স্থানীয় একটি হিমঘরে কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। বন দফতরে বিষয়টি জানানো হলেও হনুমানটিকে ধরে চিকিৎসার ব্যাপারে বনদফতর সেভাবে উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ। এরই প্রতিবাদে আজ সকাল ৬ টা থেকে রাস্তায় নামেন গনগনিডাঙ্গা এলাকার মানুষ। বাঁশ দিয়ে সোনামুখী বর্ধমান রাস্তা আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয়রা। প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে অবরোধ চলার পর সোনামুখী থানার পুলিশ অবরোধস্থলে পৌঁছে বাদরটিকে ধরার আস্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। এদিকে পথ অবরোধ উঠতেই বাদরটিকে পাকড়াও করার ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছে বন দফতর। জাল ও খাঁচা নিয়ে এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে বন কর্মীরা। কিন্তু এখনো বাদরটি পাকড়াও করতে পারেনি বন দফতর। ফলে আতঙ্ক কার্যত গ্রাস করে রেখেছে গোটা এলাকার মানুষকে।