কোচবিহার, নিজস্ব সংবাদদাতা: খাপাইডাঙ্গা কালজানি এলাকার ১৪ বছরের নাবালিকা যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মূল অভিযুক্ত সহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানালেন কোচবিহার জেলা পুলিশ।
এদিন কোচবিহার পুলিশ লাইনের কনফারেন্স হলে ডেপুটি পুলিশ সুপার চন্দন দাস সাংবাদিকদের বলেন, ১৪ বছরের ওই নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। গত ২০ তারিখ ওই কিশোরীর বাবা নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করে। পরে পুলিশ তদন্ত করতে নেমে জানতে পারে ওই নাবালিকাকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর সেখান থেকে কোচবিহার এম জে এন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে মূল অভিযুক্ত সহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতরা হলেন, বাপ্পা বর্মন, সত্য সরকার, মৃনাল সরকার, সুমন সরকার এবং সুশান্ত দাস।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই ওই কিশোরী স্কুলে যায়। এরপর সে আর বাড়ি ফেরে নি। তারপরই ২০ তারিখে পরিবারের পক্ষ থেকে পুন্ডিবাড়ি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। এরপর মাথাভাঙা হাসপাতাল থেকে ফোন করে নাবালিকার খোঁজ দেওয়া হয় বাড়িতে৷ অভিযোগ,প্রেমের ফাঁদে ফেলে কিশোরীকে মাথাভাঙায় অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে নিয়ে গিয়ে ওই নাবালিককে গণধর্ষণ করা হয়। যার ফলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। তাকে প্রথমে মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়৷ সেখান থেকে তাকে কোচবিহারে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তারপর আবারও কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। পরবর্তীতে তাকে ফের কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে নাবালিকাকে৷ সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। কিন্তু গতকাল ফের তাকে কোচবিহার এম জে এন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। সেই ঘটনার মূল অভিযুক্ত সহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে বলে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা বলেন কোচবিহার জেলার ডেপুটি পুলিশ সুপার চন্দন দাস।