দীর্ঘ লড়াইয়ের পর মৃত্যু হলো নির্যাতিতা নাবালিকার, শোকের ছায়া পরিবারের।

0
188

কোচবিহার, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  প্রেমিকের হাতে যৌন নির্যাতন হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিল নাবালিকা প্রেমিকা। থামল সেই লড়াই, সাত – আট দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর অবশেষে মৃত্যু হল ওই নাবালিকা প্রেমিকার। ওই নাবালিকা কোচবিহার ২ ব্লকের খাপাইডাঙ্গার বাসিন্দ। বুধবার সকালে কোচবিহারের এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নির্যাতিতার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকায়। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন কিশোরীর পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

নাবালিকার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৮ জুলাই ওই নাবালিকা স্কুলে গিয়েছিল। অসুস্থ বোধ করায় তৃতীয় ক্লাসের পর সে স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। অভিযোগ,সেই সময় কয়েক জন যুবক তাকে তুলে নিয়ে যায়। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও ওই নাবালিকা বাড়ি না ফেরায় তার পরিবারের সদস্যেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এর পর গত ২০ জুলাই পুণ্ডিবাড়ি থানায় মিসিং ডায়েরি করেন তার পরিবারের সদস্যেরা। তাঁদের দাবি, অবশেষে তাঁরা জানতে পারেন কোচবিহারের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি ওই নাবালিকা। দীর্ঘ সাত থেকে আট দিন চিকিৎসা চলার পর আজ মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার। মৃতের কাকা বলেন, “কী বলব বুঝতে পারছি না। দোষীদের ফাঁসির শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”

এদিন নির্যাতিতার মৃত্যুতে জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন,”সাত আটদিন ধরে লড়াই চলছিল সে। তার মৃত্যুতে আমরা দুঃখিত। দোষীদের কঠোর শাস্তি চাইছি।”

পুলিশ সূত্রের খবর, নির্যাতনের ফলে কিশোরী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রথমে তাঁকে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কোচবিহারের একটি নার্সিংহোম হয়ে ২০ জুলাই মাঝরাতে মেয়েটিকে কোচবিহার এম জে এন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর সেখানে তার চিকিৎসা চলছিল। সেখানে তাকে লাইফ সাপোর্ট রাখা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আজ সকালে মারা যায় কিশোরী।

এদিন এবিষয়ে এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি ডক্টর রাজীব প্রসাদ জানান, দীর্ঘ কয়েকদিন ধরে ওই নাবালিকা এম জে এন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সি.সি.ইউতে ভর্তি ছিল। আমাদের চিকিৎসকরা নাবালিকার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিল বাঁচানোর। কিন্তু আজ সকালে ওই কিশোরী মারা যায় বলে জানান তিনি।