নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ জানেন কি ? বাঁকুড়ায় রয়েছে একটি লুকানো শৈব ক্ষেত্র। পাহাড়ি এলাকার মনোরম পরিবেশে লুকিয়ে আছে এই শিব লিঙ্গ। বাঁকুড়ার সবচেয়ে উঁচু পাহাড় শুশুনিয়া পাহাড়ের ঠিক পিছনে রয়েছে রাজা চন্দ্রবর্মনের সুপ্রাচীন শিলালিপি। যে শিলালিপিতে খোদাই করা রয়েছে ইতিহাস। শিলালিপি যাওয়ার দুর্গম রাস্তায় চোখে পড়বে আরো একটি জলধারা, যার নাম জমধারা। ঠিক তার পাশেই রয়েছে আরও একটি শৈবক্ষেত্র। কিন্তু চরম শৈব চেতনায় ছাড় পায়না অরন্যের মাঝে এই নির্জন স্থানে শ্রাবন মাসের এই শৈবক্ষেত্র। ভিড় জমান স্থানীয় মানুষজন থেকে দূরদূরান্তের পুণ্যার্থীরা।
প্রাগৈতিহাসিক মল্লভূমি ছাতনা। এই ছাতনার আনাচে কানাচে লুকিয়ে আছে মল্ল রাজাদের ইতিহাস এবং শিবের আরাধনা। শুধুমাত্র ছাতনা নয়, সমগ্র বাঁকুড়া জেলায় দেখা যায় বিভিন্ন শৈব ক্ষেত্র। সেই রকমই এই ছোট্ট শৈব ক্ষেত্রটিও বাদ যায়না জল ঢালার সময়। যদিও সারা বছর এই জায়গাটি মূলত জমধারা এবং রাজা চন্দ্রবর্মার রহস্যময় শিলালিপির জন্যেই চর্চায় থাকে। মানুষের আনাগোনা বিক্ষিপ্ত ভাবে লেগেই থাকে এই দুর্গম জায়গায়। শত কষ্ট সহ্য করেও পাহাড়ের চরাই উৎরাই পেরিয়ে জল ঢালতে আসছেন পুণ্যার্থীরা যা আধ্যাত্বিক ভারতের এক অপূর্ব বার্তা বহন করে।