নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- মনিপুরের ঘটনায় সমগ্র দেশ লজ্জিত। ধর্মের নামে মানুষ কত নৃশংস হতে পারে তা আমরা প্রতিনিয়তই দেখছি। মনিপুরে মহিলাদের উপর পাশবিক অত্যাচার ও গণহত্যার প্রমাণ মনিপুরের ভাইরাল ভিডিও। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, আদিবাসী দুই নারীকে নগ্ন করে দিনেরবেলায় রাস্তায় হাঁটাচ্ছে একদল যুবক। অনেক মানুষ তা দেখছে। পরবর্তীতে ওই দুই নারীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে।
চলতি বছরের মে মাসের শুরুতে মণিপুরে জাতিগত সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এ সহিংসতায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৩৬ হাজারের বেশি, ১০ হাজরেরও বেশি বাড়ি-ঘর ধূলিসাৎ হয়েছে।
এপিডিআর নবদ্বীপ শাখার কর্মী প্রতাপ চন্দ্র দাস বলেন, ” মনিপুরে জাতি-দাঙ্গা অশান্তি হিংসার মূল কারন বিজেপির হিন্দু রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্য পূরণে নোংরা রাজনীতি এবং কর্পোরেটের জমি জঙ্গল প্রাকৃতিক সম্পদ লুটের আগ্রাসন। জাতিগত সংরক্ষণ টিকিয়ে রেখে সরকার বৈষম্য তৈরি করছে। মানুষের পরিচয় হওয়া উচিৎ মানুষ। এটা যতদিন না হচ্ছে রাষ্ট্রনেতারা মানুষের মধ্যে এমন দাঙ্গা লাগাতেই থাকবে। এই গণ-পৈশাচিক নির্মমতা কোনো বিচ্ছন্ন ঘটনা নয়, এর নেপথ্যে রয়েছে মোদি শাহের সুচিন্তিত পরাক্রমশালী রাজনৈতিক ছক। মনিপুর সহ দেশের সর্বত্র মানুষের বেঁচে থাকার গণতান্ত্রিক অধিকার হত্যা করার জন্য বিজেপি সরকারকে জানাই ধিক্কার। “
এপিডিআরের রাজ্য সহ সম্পাদক মোতুলিনাগ সরকার। বলেন, ” হাথরাস উন্নাও এবার মনিপুর। এটা ভারতের চেনা দৃশ্য। নারীরা মোদির ভারতে সুরক্ষিত নয়। মনিপুরে দ্রুত শান্তি ফিরুক এই আশারাখি। সেইসাথে মনিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর শাস্তিও দাবি করছি।”