দুবরাজপুর, সেখ ওলি মহম্মদঃ- গোটা বিশ্বের পাশাপাশি বীরভূম জেলার দুবরাজপুরের ইসলামপুরে রীতি মেনেই পালন করা হল মহরম উৎসব। যদিও বা মহরম কোনো আনন্দের উৎসব নয়। মহরম হচ্ছে শোকের উৎসব। ইসলামিক হিজরি সনের প্রথম মাস হচ্ছে মহরম মাস। আর এই মহরম মাসের ১০ তারিখে কারবালার মরু প্রান্তরে এজিদ বাহিনী হজরত ইমাম হোসেনকে চক্রান্ত করে হত্যা করে। তাই এই দিনে হজরত ইমাম হোসেনের এবং কারবালার মরু প্রান্তরে যাঁরা শহিদ হয়েছিলেন তাঁদের স্মৃতির উদ্দেশ্যেই মহরম পালন করা হয়। দুবরাজপুরের ইসলামপুরে মহরম উপলক্ষে ১৮ টি তাজিয়া বের হল দুবরাজপুর শহরে এবং তাজিয়াগুলো ইসলামপুর থেকে বের হয়ে দুবরাজপুর সানাই লজ সংলগ্ন গড়দরজা আস্তানায় পৌঁছায়। তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে গোটা দুবরাজপুর শহর পরিক্রমা করে পুনরায় ফিরে আসে ইসলামপুরে। মহরম উপলক্ষে এদিন হাতে ইসলামিক ঝাণ্ডা নিয়ে এবং পাঞ্জাবি ও মাথায় পাগড়ি পরে লাইন দিয়ে তাজিয়ার অগ্রভাগে থেকে পরিক্রমা করেন ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষেরা। এদিন দুবরাজপুরের ইসলামপুর সদর মসজিদের পেশ ইমাম আনোয়ার হোসেন জানান, হজরত সৈয়দ ইমাম হোসেনকে কারবালার মরু প্রান্তরে চক্রান্ত করে এজিদ বাহিনী হত্যা করেছিল। তাই সেই দিনটাকে স্মরণ করে আমরা মহরম পালন করি। তাছাড়াও প্রশাসনের নির্দেশ মতোই আমরা মহরম পালন করছি। শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখেই পালন করা হচ্ছে আজকের দিনটি। অন্যদিকে দুবরাজপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে জানান, ইসলামপুর থেকে আজ মহরম উপলক্ষে শোভাযাত্রা করে তাজিয়া বের হয়। আমরা সেই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছিলাম। চিরাচরিত প্রথা মেনে দীর্ঘদিন ধরে ইসলামপুর থেকে দুবরাজপুরের রবীন্দ্র সদন সংলগ্ন গড়দরজা তাজিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন প্রতিটি তাজিয়ার নীচে পার হোন এবং প্রণাম করেন। পাশাপাশি প্রতিটি তাজিয়ায় চাল, ডাল, আলু ইত্যাদি দেন।