প্রেমিকের বিয়ে অন্য মেয়ের সাথে, সোজা বিয়ের দাবিতে যুবকের বাড়িতে ধর্না প্রেমিকার।

0
191

কোচবিহার, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  দীর্ঘ এক বছরের প্রণয়ের সম্পর্কের পর অন্য মেয়ের সাথে প্রেমিকের বিয়ের খবর শুনতেই আকাশ থেকে পড়লেন প্রেমিকা। তাই রীতিমত প্রেমিকের বাড়িতে এসে ধর্নায় বসলো যুবতী। ঘটনাটি ঘটেছে গুড়িয়াহাটি ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সংলগ্ন এলাকায়। তবে এই ধর্না দেখতে এলাকার উৎসুক জনতা ভিড় জমায় ওই যুবকের বাড়ির সামনে। তবে ওই যুবতীর এই ধর্না শুরুর পর থেকে এলাকা থেকে নিখোঁজ ওই প্রেমিক। কয়েক ঘন্টা কেটে যাওয়ার পর আজ সকাল থেকে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ওই মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়ে পুলিশ ভ্যানে তুলতে যায়। সেই সময় যুবতীর মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। পরে অসাবধান বসত ওই যুবতীর মোবাইল ফোন জলে পরে যায়। পরে স্থানীয় মানুষ পুলিশকে আটক করতে গেলে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু হয় স্থানীয়দের। পরে স্থানীয় লোকদের সহায়তার যুবকের বাড়ির গেটের তালা ভেঙে ওই যুবতী ঘরে ঢুকে পরে। ওই ঘটনায় চাপা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এলাকা জুড়ে।

জানা গেছে,দিনহাটা ছোট ফলিমারী এলাকায় এক যুবতীর সঙ্গে দীর্ঘ ১ বছরের প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল গুড়িয়াহাটি ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সংলগ্ন এক যুবকের। সেই যুবতীকে একাধিকবার যুবক নিজের বাড়িতে নিয়ে এসেছে এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। বাড়িতে ওই যুবতীকে নিয়ে আসার বিষয় নিয়ে পাড়া প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঝামেলাও হয়েছে বেশ কয়েকবার। তবে হঠাৎ করেই সেই প্রেমিকের অন্যত্র বিয়ে করে নেওয়ার বিষয়ে জানতে পারে জনৈক ওই প্রেমিকা যুবতী। আর তারপরেই সে প্রেমিক যুবকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে। তারপর আজ সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ওই মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়ে পুলিশ ভ্যানে তুলতে যায়। সেই সময় যুবতীর মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। পরে অসাবধান বসত ওই যুবতীর মোবাইল ফোন জলে পরে যায়। পরে স্থানীয় মানুষ পুলিশকে আটক করতে গেলে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু হয় স্থানীয়দের। পরে স্থানীয় লোকদের সহায়তার যুবকের বাড়ির গেটের তালা ভেঙে ওই যুবতী ঘরে ঢুকে পরে। বলে জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে।

এদিন এবিষয়ে জনৈক ওই প্রেমিকা যুবতী জানান, এক বছর আগে থেকে ওই যুবকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল তাঁর। তবে এদিন সে হঠাৎ করেই জানতে পারে যে,তাঁর প্রমিক অন্য এক মেয়ের সঙ্গে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করে নিয়েছে। আর সেটা শোনার পর সে দিনহাটা থেকে কোচবিহারে এসে ওই প্রেমিক যুবকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে। ১২ ঘণ্টা কেটে গেলেও পরিবারের লোকজনের বাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। আমার জীবন নষ্ট করে সে অন্য মেয়েকে বিয়ে করবে, আমি তা হতে দেবো না। আমি এখানে মরে যাবো তবুও এখান থেকে কোথাও যাবো না।