নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- চারজনকে বেঁধে রেখে আগ্নেয় অস্ত্র দেখিয়ে দুঃসাহসিক চুরি সোনার দোকানে। ঘটনাটি ঘটেছে গত গভীর রাত্রে রানাঘাট থানার অন্তর্গত সাহেবডাঙ্গা গঙ্গা গোবিন্দপুর বাজারে।এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি গভীর রাতে সাতজনের একটি দুষ্কৃতি দল তাদেরকে বেঁধে ঘরে বন্দী করে সোনার দোকানের শাটার ভেঙে লুট করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান তারা মুর্শিদাবাদ থেকে এসে মাঠে পাতা পোড়ানোর কাজ করেন। রাত্রে স্থানীয় কোন বাজারে রাত্রে বিশ্রাম নেন। প্রতিদিনের মতো আক্কাস আলী, জামাল শেখ, হিল্লাল শেখ ও রাজু শেখরা সাহেব ডাঙ্গা গঙ্গা গোবিন্দপুর বাজারের ছাদের উপর রাত্রে ঘুমাচ্ছিলেন। সেই সময় ওই সাতজনের দুষ্কৃতী দল তাদেরকে আগ্নেয় অস্ত্র দেখিয়ে তাদেরকে বেঁধে নিচের একটি ঘরে বন্ধ করে রাখে। চিৎকার করলে গুলি মারার হুমকি দেয় দুষ্কৃতীরা। ওই চারজন শ্রমিকের কাছে থেকে একটি মোবাইল ফোনও ছিনতাই করে বলে অভিযোগ করে রাজু শেখরা। সকালে ঘটনা জানাজানি হতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে মায়া জুয়েলার্সের মালিক ও পরিবারের সকলে দোকানে এসে দেখে শাটার কেটে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ লক্ষ টাকার সোনার গহনা চুরি হয়েছে বলে জানান। দোকানের একাধিক সিসিটিভি ভেঙে ফেলা হয়েছে এছাড়াও সোনার দোকানের লকার নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে রানাঘাট থানার পুলিশ। পুলিশ এসে তদন্তে নেমে এলাকার গোটা সিসিটিভির ফুটেজ লক্ষ্য করে তদন্ত শুরু করে। দোকান থেকে প্রায় তিন থেকে চার কিলোমিটার দূরে মাঠের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় সোনার দোকানের ভাঙা লকার। বর্তমানে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রানাঘাট থানার পুলিশ।।