নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের আড়বান্দি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে শেষ পর্যন্ত কোন দল বোর্ড গঠন করবে, তা নিয়ে এখন চলছে জোর জল্পনা।

0
197

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রে এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এগিয়ে ছিল বিজেপি। নির্দলের এক জয়ী প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দিতেই ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতি তৈরি। নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের আড়বান্দি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে শেষ পর্যন্ত কোন দল বোর্ড গঠন করবে, তা নিয়ে এখন চলছে জোর জল্পনা।

গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ২০ টি আসন। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফলাফলের নিরিখে বিজেপি ১০, তৃণমূল ৯ এবং কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে আসা এক নির্দল প্রার্থী ১ আসনে জয়ী হয়েছেন। ওই নির্দল প্রার্থী অসিত দেব স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের হাত ধরে রাজ্যের শাসক দলে যোগদান করেন। তিনি দলবদল করতেই বদলেছে পঞ্চায়েতের রাজনৈতিক সমীকরণ। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই পঞ্চায়েতটি তৃণমূলের দখলে ছিল। কেন দলবদল সে প্রসঙ্গে নির্দল জয়ী প্রার্থী বলেন, “মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছে। তাই মানুষের জন্য উন্নয়নের কাজে সামিল হতে চাই। সেজন্যই তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।” রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতি তৈরি হওয়াতে জোড়াফুল এবং পদ্মফুল দুই শিবিরের কাছেই পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করা রীতিমত চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। তৃণমূলের কোনও জয়ী প্রার্থী যদি বিজেপিতে যোগ দেন, অথবা বিজেপির কোনও একজন জয়ী প্রার্থী তৃণমূলকে সমর্থন জানান, তাহলে ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতি কাটিয়ে সেই দলের বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রে পাল্লা ভারী হবে। যদিও দল বদলের বিষয়টিকে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি ও কংগ্রেস।

নদিয়া দক্ষিণ জেলা বিজেপির সম্পাদক অধ্যাপক সোমনাথ কর বলেন, “এই ঘটনা নতুন কিছু নয়। বিজেপির জয়ী প্রার্থীদেরকেও তৃণমূল নিজেদের দিকে টানতে চাইছে। কিন্তু তা সম্ভব না হওয়ায় মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। কংগ্রেস বা সিপিএম থেকে জয়ী হওয়া প্রার্থীদেরকেও জোর করে বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রে তৃণমূল নিজেদের দলে যোগ দেওয়াচ্ছে। গণতন্ত্র লুন্ঠিত হচ্ছে।”

যদিও শান্তিপুর ব্লক-বি এর তৃণমূলের উপদেষ্টা মন্ডলের সদস্য অমিয় সন্ন্যাসী বলেন, “নির্দল প্রার্থী আমাদের উন্নয়নে সামিল হতে চেয়েছেন। তিনি স্বেচ্ছায় আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। বিজেপির জয়ী প্রার্থীরাও যদি আমাদের দলে আসতে চায়, আমরা তাঁদের সাদরে গ্রহণ করবো।”