বাম-কংগ্রেস জোটের শিবিরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে।

0
227

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- গভীর রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বাম-কংগ্রেস জোটের শিবিরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি শিবিরের গ্রিলের দরজার তালা ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে দুই রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগে উঠেছে তৃনমূল আশ্রিত দুষ্কৃৃতীদের বিরুদ্ধে।জানা গেছে,
হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পাড়া এলাকায় হরিশ্চন্দ্রপুর হেড পোস্ট অফিসের সামনে কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সমিতির বিজয়ী প্রার্থী তহমিনা খাতুনের বাড়িতে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং পঞ্চায়েত সমিতির বাম-কংগ্রেস জোটের ১১ জন বিজয়ী প্রার্থীকে নিয়ে শিবির করা হয়েছে।অভিযোগ,পঞ্চায়েত স্তরে তৃনমূল কংগ্রেস আশানুরূপ ফলাফল করতে পারেনি।তা সত্বেও পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।আগামী ১২ আগস্ট পঞ্চায়েত ও ১৪ আগস্ট পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন রয়েছে।বৃহস্পতিবার রাত বারোটা নাগাদ দুইটি চার চাকা বোঝায় কিছু মুখ ঢাকা দুষ্কৃতী ওই শিবিরে হামলা চালায়।লাঠি সোটা এবং বন্দুক নিয়ে শিবিরের মূল ফটোকে আঘাত হানতে থাকে।বিজয়ী প্রার্থী তহমিনা খাতুন এর স্বামী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে বেধরকভাবে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।তৃণমূল আশ্রিত ওই দুষ্কৃতীরা হামলা চালানোর সময় দুই রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ।শিবিরের মধ্যে পাথর ছুড়তে শুরু করেন তৃনমূলের দুষ্কৃৃতীরা।ভেঙে দেওয়া হয় সিসিটিভি ক্যামেরা।এরপরই শিবিরের প্রার্থীদের চেঁচামেচিতে এলাকার মানুষ জেগে যায়।তারপরেই ওই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে।আজ সকালে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানিয়েছেন বাম কংগ্রেস-নেতৃত্ব।এলাকার কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং পঞ্চায়েত সমিতি শাসকদলের হাতছাড়া হওয়ার পর থেকেই তারা ক্রমাগত আক্রমণ করে যাচ্ছে।গতকাল তারা জোটের প্রার্থীদের অপহরণ করার জন্য এসেছিল।হামলার ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে।হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকার থানা থেকে কিছু দূরে এই ধরনের ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী।পুলিশের ভুমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।এ প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক মোস্তাক আলম সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন এলাকা তৃণমূল নেতৃত্বের দিকে।তার দাবি তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডা বাহিনী জোটের প্রার্থীদের অপহরণ করতে এই কান্ড ঘটিয়েছে।আমরা অবিলম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব।এই ব্যাপারে তৃনমূলের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।