নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- প্রসঙ্গত গত পাঁচই জুলাই ধুবুলিয়া থানার অন্তর্গত পন্ডিতপুর ১০১ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থীর দেওর অষ্টমণ্ডল নিখোঁজ হয়ে যায়। পরিবার সূত্রে জানা যায় ৫ই জুলাই সন্ধ্যায় নির্বাচনী ব্যানার লাগিয়ে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। গত ৬ ই জুলাই পরিবারের লোকজন ধুবুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ৮ ই জুলাই রাজ্যজুড়েছিল ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন। এরপর ১০ই জুলাই অষ্ট মন্ডলের বাড়ির সামনের পাট ক্ষেত থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এ বিষয় নিয়ে দিল্লি থেকে জাতীয় তপশিলি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার খুনের তদন্ত করতে আজ শনিবার এসে পৌঁছান অষ্ট মন্ডলের বাড়ি ধুবুলিয়ার পন্ডিতপুরে। এছাড়াও মৃতদেহটি যেখান থেকে উদ্ধার হয় সেই জায়গা সরজমিনে ঘুরে দেখেন তিনি। পরবর্তীতে কৃষ্ণনগরে সার্কিট হাউসে এসে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সাংবাদিক বৈঠক থেকে রাজ্য সরকার সহ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে একহাত নেন তিনি। পাশাপাশি সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন পন্ডিতপুরের বিজেপি কর্মী অষ্টম মন্ডলের হত্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে ঘটনাটি ধামাচিপার দেওয়ার জন্য এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত তুলে দেওয়া হয়েছে একজন অনভিজ্ঞ নতুন কর্মে যোগদানকারী পুলিশ আধিকারিকের হাতে। যিনি ২০১৯ সালে চাকরিতে বহাল হয়েছেন। নিয়ম থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় এস সি কমিশনের প্রতিনিধি এখানে আসলেও জেলার সর্বময় প্রশাসনিক কর্তা এসপি বা ডিএম অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে গভীর উস্মা প্রকাশ করেন অরুণ হালদার। এছাড়াও কমিশনের আইন অর্থাৎ প্রিভেনশন অফ একটিভিটি এক্টের মাধ্যমে পরিবারটি চার লক্ষ বারো হাজার পাঁচশো টাকা সরকার থেকে পেয়ে যাবেন মৃতের পরিবার। পরবর্তীতে কেসের চার্জশিট গঠন হওয়ার পর ফের একই অংকের অর্থ সাহায্য পাবেন তাঁরা। এছাড়াও পরিবারের একজনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা সহ মাসিক পেনশনের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি বাচ্চাদের পড়াশোনার দায়িত্ব ও তিন মাসের জন্য বিনামূল্যে রেশন সরকার থেকে দেওয়া হবে পরিবারটিকে। হত্যা মামলাটির যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার না করতে পারলে কমিশন তার আইনত প্রভাব কাটিয়ে তদন্তকারী আধিকারিক সহ জেলা প্রশাসনের সর্বময় কর্তাদের দিল্লিতে ডেকে পাঠাতে পারেন বলেও এই দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান জাতীয় তপশিলি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার। এছাড়াও স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকদের সংশ্লিষ্ট আইনানুক ধারাটি প্রয়োগ করার জন্য এই দিন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়। তা সত্ত্বেও এই ধারার প্রয়োগ না হলে পরবর্তীকালে করা ব্যবস্থা নেওয়া হবে জাতীয় এসসি কমিশনের পক্ষ থেকে বলেও জানান তিনি।
Home রাজ্য দক্ষিণ বাংলা জাতীয় তপশিলি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান খুনের তদন্ত করতে আসলেন নদীয়ার ধুবুলিয়া থানার...