মাজদিয়া সুধীর রঞ্জন লাহিড়ী মহাবিদ্যালয়ে নতুন ছাত্র-ছাত্রীদের স্নাতকের নতুন সিলেবাস সম্পর্কে অবগত করা হলো।

0
126

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- স্নাতকের পঠন-পাঠনের ক্ষেত্রে পরিবর্তন করা হয়েছে নিয়মের। জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারে এবার থেকে গ্রাজুয়েশন অর্থাৎ স্নাতকের কোর্স তিন বছর থেকে বাড়িয়ে করা হয় চার বছর। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই চালু হল নতুন নিয়ম। শিক্ষা দফতর থেকে এই নিয়মের কথা জানানোর পরেই ইতিমধ্যেই সেই নিয়ম চালু করার বন্দোবস্ত করছে রাজ্যের সমস্ত জেলার পাশাপাশি নদিয়া জেলারও সমস্ত কলেজগুলি। ঠিক তেমনই চিত্র ফুটে উঠলো নদিয়ার মাজদিয়া সুধীর রঞ্জন লাহিড়ী মহাবিদ্যালয়ে।

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত সুধীর রঞ্জন লাহিড়ী মহাবিদ্যালয় বহু প্রাচীন একটি কলেজ। শ্রদ্ধেয় স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং সমাজসেবক স্বর্গীয় সুধির রঞ্জন লাহিড়ী মহাশয় স্বপ্নের ও সংগ্রামের ফসল হল এই কলেজ। জানা যায় তিনি তার যাবতীয় স্থাবর ও অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তি এই কলেজ নির্মাণের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন। বহু বছর অসংখ্য ছাত্র ছাত্রী এই মহাবিদ্যালয় থেকে পাশ করে।

এদিন নতুন ছাত্র-ছাত্রীদের স্নাতকের নতুন সিলেবাস সম্পর্কে অবগত করতে, এছাড়াও ছাত্রছাত্রীদের একাধিক সরকারি প্রকল্পের সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেওয়া হল এই দিন। প্রায় বারোটি ডিপার্টমেন্টে ১৯০০ ছাত্রছাত্রী এবছর এই কলেজে ভর্তি হলো বলেই জানান কলেজের প্রিন্সিপাল ড: দীপঙ্কর ঘোষ।

তিনি আরও বলেন, ” ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসির শিক্ষানীতির অবলম্বনে আমাদের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফেও যে নতুন শিক্ষানীতির প্রণয়ন হয়েছে। তো সেই সম্বন্ধীয় আমাদের যে ভর্তির নিয়ম চার বছরের স্নাতকের কোর্সের যে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেই অনুসারে আমাদের ভর্তির প্রসেস সম্পূর্ণ হয়েছে। অনলাইনে আমাদের ডকুমেন্ট জমা পড়েছে। তার পরবর্তীতে যেটা আমাদের কাজ থাকে সেটি হল ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন। ডকুমেন্ট অনলাইনে জমা পড়েছে সেটির ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন। সেই ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশনের কাজই এরই মোটামুটি সম্পন্ন হয়েছে, কিন্তু আমাদের ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা অনেকটাই বেশি তাই একদিনে পুরোটা করা সম্ভব হয়নি পরবর্তী দিনে সম্পন্ন করা হবে”।

সুতরাং বলা যেতে পারে এ বছর থেকে প্রত্যেক উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার ছাত্র-ছাত্রীকে স্নাতকের সার্টিফিকেটের জন্য নিজেদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে চার বছর। আর এই পরিবর্তনের ফলে ছাত্রছাত্রীরা অনেকটাই বেশি হাতে কলমে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে বলে মনে করছেন শিক্ষক মহল।