পাকা রাস্তার দাবিতে কর্দমাক্ত রাস্তায় ধানের চারা পুঁতে বিক্ষোভে সামিল হলেন গ্রামবাসীরা।

0
130

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা: একবিংশ শতাব্দীতে এসেও কপালে জুটে নি পাকা রাস্তা,বছরের পর বছর ধরে এক হাঁটু পর্যন্ত কাদা ঠেলে কোনওরকমে যাতায়াত করতে হচ্ছে মালদহের মালতী পুর বিধানসভার গোপাল পুর গ্রামের বাসিন্দাদের। মাঝ বর্ষাতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই এলাকার বাসিন্দাদের। শনিবার পাকা রাস্তার দাবিতে কর্দমাক্ত রাস্তায় ধানের চারা পুঁতে বিক্ষোভে সামিল হলেন গ্রামবাসীরা। দ্রুত রাস্তা পাকা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুশিয়ার গ্রামবাসীদের। বেহাল রাস্তার ঘটনা সামনে আসতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতোর।জানা গিয়েছে, মালদার মালতিপুর বিধানসভার বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সীর গড়ে রাস্তার বেহাল অবস্থা। মালদার চাচল ২ নং ব্লকের গোপালপুর ঘোষপাড়া গ্রামের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা। গোপালপুর এলাকার প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা কাঁচা অবস্থায় পড়ে রয়েছে, আর এই বেহাল রাস্তা দিয়েই প্রায় ১৫ থেকে ২০টি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মূল মাধ্যম হলেও দশকের পর দশক ধরে সেই রাস্তার চরম বেহাল। মাঝ বর্ষায় রাস্তার রূপ নিয়েছে ভয়ানক, জল কাদা ভেঙে যাতায়াত করছেন আট থেকে আশি সকলেই। কর্দমক্ত রাস্তার পাশে রয়েছে অঙ্গনওয়াড় কেন্দ্র, বিদ্যালয় ও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। কর্দমত্ত রাস্তা পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয় বিদ্যালয় এর ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে অঙ্গনারী কেন্দ্রের মা ও শিশুদের যার দরুন চরম দুর্ভোগে পড়েন তারা। মাঝ বর্ষায় চলছে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত। বেহাল রাস্তার বিষয় নিয়ে একাধিবার স্থানীয় প্রশাসন ও পঞ্চায়েতকে বিষয়টি জানালেও রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে কেউ কোনো উদ্যোগই হন না।গ্রামবাসীদের সমস্যা তে থেকে যায়। শনিবার পাকা রাস্তার দাবিতে কর্দমত্ত রাস্তায় ধানের চারা পুঁতে বিক্ষবে শামিল হলেন গ্রামবাসীরা। তা চাই রাস্তা চাই বলে চলল স্লোগন। যদিও দ্রুত রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক তথা-প্রশাসন।