আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ সব খবর খবরের জেরে মা বাবা হারা বালক বালিকা পেল পড়াশোনার খরচ সহ অন্যান্য ।জনপ্রিয় শিল্পী জুটির অনাথ দুই শিশুর একমাত্র ভরসার জায়গা ছিল বৃদ্ধা ঠাকুমা কিন্তু তার ক্ষমতা ছিল সীমিত, অভাবী সংসারে কোনমতে দুবেলা দুমুঠো খাবার জুটলো জুটত না ভালো-মন্দ কিছু, কষ্ট ছিল এই নিয়ে বৃদ্ধা ঠাকুমার, ছোট্ট দুই নাতি-নাতির মধ্যেও কষ্ট তিনি লক্ষ্য করতেন ঠাকুমা কিন্তু উপায় ছিল না কিছু। সংসারে আয় বলতে ছিল শুধু মাত্র বিধবা ভাতার হাজার টাকা, তাই দিয়ে তিনটি পেট সারা মাস কিভাবে চলে সেটা ভাবলেই অবাক হতে হয়। তারপরে ছিল নাতি নাতির পড়াশোনা খরচ খরচা। দুর্বিষহ যন্ত্রণাময় জীবনে পৌঁছেছিলেন তিনি এবং তার নাতি নাতনি। সোশ্যাল মিডিয়া সহ অন্যান্য খবরের শিরোনামে উঠে আসে এক বৃদ্ধা ও দুই অনাথ বালক বালিকার জীবন যন্ত্রণার চিত্র, নজরে আসে বেশ কিছু সহৃদয় ব্যক্তির অবশেষে আজ আসানসোল থেকে বাঁকুড়ার ইন্দাস এ ছুটে এলেন রামকৃষ্ণ রায়। তিনি তার সাধ্যমত পরিবারটি পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন শুধু তাই নয় একটি সাইকেলের ছিল খুবই প্রয়োজন। নতুন সাইকেল উপহার দিলেন, বাড়িতে ইলেকট্রিক নেই স্থানীয়দের সেটি ব্যবস্থা করতে বললেন খরচ তিনি দেবেন এবং প্রতি মাসে দেবেন ইলেকট্রিক বিল, এছাড়াও দুই বালক বালিকার পড়াশোনার জন্য দেবেন হাজার টাকা এবং বালক বালিকার ঠাকুমার সংসার চালাবার জন্য হাজার টাকা তিনি প্রতি মাসে ব্যাংক একাউন্টে পাঠিয়ে দেবেন। সত্যি মানুষ যে এখনো বিবেক মনুষ্যত্ব ও মানবিকতা হারিয়ে ফেলেনি তার একটি উজ্জল নিদর্শন আজকের এই ঘটনা। ভালো থাকুন রামকৃষ্ণ বাবু, আপনাকে করুণাময় ঈশ্বর দীর্ঘজীবী করুন এই প্রার্থনা রইলো।