কোচবিহার, নিজস্ব সংবাদদাতা: কে হবে প্রধান তা নিয়ে তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে ছিল গোষ্ঠী কোন্দল। সেই গোষ্ঠী কোন্দল চরম আকার নেয় পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের দিন। ওই ঘটনার তৃণমূলের ৩ পঞ্চায়েত সদস্য দলের প্রধান পদের প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে বিজেপির পক্ষ নেয়। এমনি ঘটনা ঘটেছে মাথাভাঙ্গা ১ নং ব্লকের জোড়পাটকি গ্রাম পঞ্চায়েতে। সেই ঘটনার জেরে ওই তিন পঞ্চায়েত সদস্য ও সদস্যাকে দল থেকে ৬ বছরের জন্য বহিষ্কার করলো তৃণমূল কংগ্রেস।
জানা গেছে, মাথাভাঙ্গা ১ নং ব্লকের জোড়পাটকি গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন ছিল। ওই গ্রাম পঞ্চায়েত মোট আসন সংখ্যা ছিল ২১। সেই আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ১৫ টি। বিজেপি পেয়েছে ৬ টি আসন। সেখানে আমাদের দলের তিনজন পঞ্চায়েত সদস্য দেবাশীষ মজুমদার। সে ৫/১৩০ নং আসন থেকে জয়ী হয়েছেন। আব্দুল গণি তিনি ৫/১২৬ নং বুথ থেকে জয়ী হয়েছেন এবং হামিদা বিবি তিনি জয়ী হয়েছেন ৫/১২৪ নং বুথের তৃণমূল মনোনীত জয়ী প্রার্থী। এই তিন জন আমাদের রাজ্য নেতৃত্বের যে মুখবদ্ধ করা খামে প্রধান ও উপপ্রধানের নাম পাঠানো হয়েছে তার বিরোধিতা করেন। আব্দুল গণি প্রধান হিসেবে দেবাশীষ মজুমদারের নাম প্রস্তাব করেন এবং সেই প্রস্তাবকে সমর্থন করেন হামিদা বিবি। সেই কারণে সেখানে ভোটাভুটি হয়। সেখানে দেখা যায় বিজেপির ৬ জন বিজয়ী পঞ্চায়েত প্রার্থী দেবাশীষ মজুমদার কে সমর্থন করেন। ফলে বিজেপি এবং ওই তিন জন মিলে মোট নয় ভোট পায় তারা। তৃণমূল ভোট পায় ১২টি। তারা বিজেপির সাথে যোগাযোগ করে একটা অভিসন্ধি করেছে। সেই কারণে আমরা ৩ টি ভোট কম পাই। যদিও সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস বোর্ড গঠন করেন। দল বিরোধী কাজ করায় তাদের তিন জনকে ৬ বছরের জন্য দল থেকে বহিস্কার করলো তৃণমূল কংগ্রেস। পরবর্তীতে আইন মেনে তাদের যেন পঞ্চায়েত পদ খারিজ হয় সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবং সেখানে যাতে পুন:রায় নির্বাচন করবো যায় সেই নিয়ে আমরা আইনানুক পদক্ষেপ গ্রহণ করবো বলে জানান তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক।