দক্ষিণ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল দক্ষিণ দিনাজপুরে।হাঁসুয়ার কোপে পা কেটে রক্তাক্ত হলেন বিজেপির মন্ডল সভাপতি। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো বেশ কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য। যারা বর্তমানে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বুধবার দুপুরে এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের রামচন্দ্রপুর এলাকায়। ঘটনার পরেই তপন থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী এলাকায় পৌছে স্বাভাবিক করেছে পরিস্থিতি।
যদিও এনিয়ে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তাদের অভিযোগ, ব্লকের এক সরকারি আধিকারিকের নেতৃত্বেই এদিন পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনেও ছাপ্পা চালিয়েছে তৃণমূল। জোর করে একজন সদস্য তিনজনের ভোট দিয়েছে বলেও অভিযোগ বিজেপির। যে ঘটনার প্রতিবাদ করাতেই সশস্ত্র তৃণমূল দুষ্কৃতিরা চড়াও হয় বিজেপি সদস্যদের উপর। ঘটনায় হাঁসুয়ার কোপ পায়ে লেগে রক্তাক্ত হয়েছেন বিজেপির তপন মন্ডল, সভাপতি গণেশ সরকার। আহত হয়েছেন আরো বেশ কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্যও। যদিও এই ঘটনা পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে।
উল্লেখ্য, ২৭ আসন বিশিষ্ট তপনের রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতটি। যেখানে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল
১৩টি আসন পাবার পাশাপাশি বিজেপিও ১৩টি আসন পায়। একটি আসন লাভ করে কংগ্রেস। অভিযোগ, এদিন সেই পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়েই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বিজেপির দাবি, প্রধান নিয়ে তৃণমূলের কোন্দলের জেরে প্রায় তিনজন তৃণমূল সদস্য বিজেপির হয়ে ভোট দানে প্রস্তুত হয়। যা কিছুটা আঁচ করেই ঝামেলার সুত্রপাত। বিজেপির অভিযোগ, পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ওই ব্লকের একজন সরকারি আধিকারিক তৃণমূলের হয়ে বোর্ড গঠনে উদ্যোগী হন। বিজেপি সদস্যদের ভোট জোর করে তৃণমূল সদস্যরা দিতে উদ্যোগী হয় সেখানে। যার প্রতিবাদ করতেই শুরু হয় উভয়পক্ষের সংঘর্ষ। ঘটনার জেরে রক্তাক্ত হয়েছেন বিজেপির মন্ডল সভাপতি গণেশ সরকার। তাঁর দাবি, হাঁসুয়া দিয়ে তার পায়ে কোপ মারায় মাটিতে পড়ে গিয়ে রক্তাক্ত হয়েছেন তিনি। যদিও এমন অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে।
বিজেপির মন্ডল সভাপতি গণেশ সরকার বলেন, বোর্ড গঠনেও তৃণমূল ছাপ্পা চালাচ্ছে। তিনজনের ভোট একজন দেওয়ার ঘটনা নিয়ে ঝামেলার সুত্রপাত। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার পায়ে কোপ মেরেছে তৃণমূলীরা।
বিজেপি বলেন, ব্লকের এক সরকারি আধিকারিকের তৎপরতায় বোর্ড গঠনে ছাপ্পা চালিয়েছে তৃণমূল। যার প্রতিবাদ করতে গিয়েই রক্তাক্ত হয়েছেন মন্ডল সভাপতি সহ বেশ কয়েকজন। ঘটনা নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন তারা।
তৃণমূল কংগ্রেস সুত্রে জানাযায়,এধরণের কোন নক্কার জনক ঘটনা কিছুই ঘটে নাই।