বাঁকুড়া, আবদুল হাই:- খাতড়া মহকুমা শাসকের অফিসে দেখতে পাবেন প্রায় ৬ ফুট উচ্চতার একটি স্মার্টফোন। একেবারে হুবহু দেখতে স্মার্টফোনের মতই। স্মার্টফোনের মতই রয়েছে বিভিন্ন অ্যাপস, এবং ওয়ালপেপার। শুধু চোখেই দেখবেন এরকমটা নয়, ছুয়ে দেখলেও বুঝতে পারবেন হুবহু ফোনের মতই কাজ করছে। একটি স্মার্ট ফোন, ফোন করা এবং ছবি তোলা ছাড়া যা যা কাজ করতে পারে, সেই সব কাজ হবে এই অতিকায় স্ক্রিনে। জেনে নিন বৃত্তান্ত।
বাঁকুড়া জেলার অন্যতম সৌন্দর্যমন্ডিত মহকুমা খাতড়া। ঘন জঙ্গল থেকে শুরু করে পাহাড় সবই রয়েছে এই মহকুমায়। খাতড়া প্রবেশ করলেই ডানদিকে চোখে পড়বে খাতরা সাব ডিভিশন অফিস। দপ্তরের প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে প্রায় ছয় ফুট উচ্চতার স্মার্টফোনের আদলে তৈরি একটি টাচ স্ক্রিন ডিসপ্লে। ফোনের মতো দেখতে বলে অবাক হয়ে অনেকেই হয়ত হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখবেন। টাচ করলেই দেখা যাবে হুবহু ফোনের মতোই কাজ করছে। স্মার্টফোনের মতই রয়েছে বিভিন্ন অ্যাপস এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করার ব্যবস্থা অর্থাৎ ওয়াইফাই। মহকুমা শাসকের পক্ষে যাওয়ার পথেও চোখে পড়বে আরো একটি অতিকায় স্মার্টফোন। মহকুমা শাসক জানান এই প্রযুক্তির নাম হচ্ছে “ডিজিটাল কিয়স্ক, হার্ড কপির যুগ আস্তে আস্তে চলে যাচ্ছে ফলেই ডিজিটালই যে কোন নথি সংরক্ষণ করে রাখা হচ্ছে এই ডিজিটাল কিয়স্ক এ। যেকোনো মানুষ যারা অফিসে আসছেন তাদের যদি কোনও সরকারি কাজ থাকে অথবা সরকারি তথ্যপ্রয়োজনায় তারা এই টাচ ক্রিন ব্যবহার করে খুব সহজেই নিজেই দেখে নিতে পারবেন”।
এই স্ক্রিন দুটি বসানো হয়েছে সাধারণ মানুষের জন্য। যাদের যা সরকারি প্রয়োজন রয়েছে তারা এই অতিকায় টাচ স্ক্রিন ব্যবহার করে সেই প্রয়োজন মেটাতে পারেন। তাছাড়াও সামনেই রয়েছে মুকুটমণিপুর কংসাবতী ড্যাম। মুকুটমণিপুর হল বাঁকুড়া জেলার অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র। মুকুটমণিপুর পর্যটন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাদি পাওয়া যাবে এই ডিজিটাল কিয়স্ক এ। এমনটাই জানান খাতড়া মহকুমা শাসক।
বাঁকুড়া থেকে আবদুল হাই এর রিপোর্ট