নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা :- ১৫ই আগস্ট ২০২৩ রাত পোহালেই আমরা আমাদের 76 তম স্বাধীনতা দিবস। এই উপলক্ষে শান্তিপুরের পুঁই পাড়ার দেবপ্রিয়া দালাল দেশের ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসকে সকলের সামনে অন্যরকম ভাবে তুলে ধরতে চেয়েছে। তার একটি আঁকার স্কুল রয়েছে ৫০ জন ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে । পাঁচ বয়স থেকে কুড়ি বয়স পর্যন্ত সমস্ত রকমের ছাত্র-ছাত্রী তার কাছে আঁকা শেখে। তবে তাদের অভিভাবকরা বয়সে বড় হলেও দেবপ্রিয়ার ছাত্র-ছাত্রী অনেকেই। তার ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ৫ জন ছাত্রীর সহযোগিতায় দীর্ঘ কুড়ি দিনের প্রচেষ্টায় সে ৩৫ জন জানা এবং অজানা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের চিত্র অঙ্কন করে।
যে সমস্ত স্বাধীনতা সংগ্রামী নাম হয়তো ছোট ও বড় কিছু মানুষের কাছে এখনো অজানা। এফোর সাইজ পেপারে পেন্সিলের মাধ্যমে সে এবং তার ছাত্রদের সাহায্যে 35 জন বিপ্লবীর ছবি এঁকেছে। মেয়েটি শুধু নেতাজি, গান্ধীজি, ক্ষুদিরাম বসু, লালা রাজপথ রায় এনাদের ছবি ছাড়াও এঁকেছে বিপিনচন্দ্র পাল ,বাঘাযতীন মাতঙ্গিনী হাজরা ,ডঃ বি আর আম্বেদকর , রাজেন্দ্র প্রসাদ, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, বিপিনচন্দ্র পাল প্রমুখের ছবি।
15 ই আগস্ট ভারতীয় নাগরিকদের জন্য একটি বিশেষ দিন।
দেবপ্রিয়ার কথায়,এই দিনটিতে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো তো বটেই, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর দিন।
প্রতিবছর একটু কোন ব্যতিক্রম চিন্তাভাবনায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে তারা।
১৫ আগস্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী ও স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কেবলমাত্র নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, মহাত্মা গান্ধী ও ক্ষুদিরাম বসু এই বিশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানিয়ে এই প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করি। এছাড়াও আরো যে সমস্ত বিপ্লবী দেশের স্বাধীনতার জন্য নিজেদের প্রাণ পর্যন্ত দিয়েছিলেন তাদের অনেকেরই নাম হয়তো আমাদের সকলের কাছে এখনও অজানা, ছোট বড় সকলে হয়তো তাদের নাম মনে রাখতে পারেন না। এমন কি শোনেননি পর্যন্ত কেউ, অথচ তাদের অবদান অনস্বীকার্য। তথ্যপ্রযুক্তির এত উন্নতি সত্ত্বেও,এখনো পর্যন্ত বেশ কিছু স্বাধীনতা সংগ্রামীর ছবি পর্যন্ত পাওয়া যায় না ইন্টারনেট গুগলে। তাই এ প্রজন্ম এবং আগামী প্রজন্মের কাছে হয়তো ব্রাত্য হয়ে যেতে পারে এ ধরনের মহান ব্যক্তিরা।
দেবপ্রিয়া বর্তমানে অ্যানিমেশন নিয়ে পড়াশোনা করছে। মা বাবা দাদু দিদাকে নিয়ে তাদের তাদের পরিবার। বাবা পেশায় একজন তাঁত শ্রমিক। তার নিজস্ব আঁকা স্কুলে পাঁচ বছর ধরে সে আঁকা শেখাচ্ছে । মায়ের নাচের স্কুল সেও সামলায় মাঝেমধ্যে।
তবে সবসময় ভিন্ন ধরনের চিন্তাভাবনা, রয়েছে তার মধ্যে। সভাপতি অন্যরকম স্বাধীনতা উদযাপনে খুশি সকলেই।