বাঁকুড়া শহরের বুকে লাল বাজারে গেলে দেখতে পাবেন মহান বিপ্লবী বিভূতিভূষণ সরকারের বাড়ি, যেখানে এখন রয়েছেন তাঁর পুত্রবধূ রুপা সরকার।

0
160

আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ ভয়াবহ ল্যান্ডমাইন বিষ্ফোরণ , প্রানে বাঁচলেন অত্যাচারী লাটসাহেব। ঘটনার পর অধরা চার বিদ্রোহী । এই চারজনের মধ্যে মূল পান্ডা ছিলেন বাঁকুড়ার বিভূতিভূষণ সরকার এছাড়াও ছিলেন প্রফুল্ল (চাকী ) ও উল্লাসকর দত্ত । লাটসাহেব মাদ্রাজ মেলে আগামী ৪ঠা ডিসেম্বর ( ১৯০৭ ) ফিরবেন কোলকাতায় । সমিতি ও সংগঠনের নেতৃত্বের নির্দেশ জারি হল বাঁকুড়ার বিভূতিভূষণের উপর । তাঁকে এও বলা হল, পছন্দমতো সহযোদ্ধা সঙ্গে নিতে । বিভূতিভূষণের উপরই দায়িত্ব দিলেন বারীণ । প্রফুল্ল চাকীকেই সিলেক্ট করলেন বিভূতিভূষণ। বর্তমানে বাঁকুড়া শহরের বুকে লাল বাজারে গেলে দেখতে পাবেন এই মহান বিপ্লবী বিভূতিভূষণ সরকারের বাড়ি। এখনো সেই বাড়িতে রয়েছেন তাঁর পুত্রবধূ রুপা সরকার।

লাট সাহেবকে হত্যার লক্ষ্যপূরণের জন্য তাঁরা চারজনই পুরী প্যাসেঞ্জারে চড়ে বেনাপুর স্টেশনে নেমে যান তাঁরা। এখান থেকে পায়ে হেঁটে আসেন নারায়ণগড়ে । স্ট্র্যাটেজিক জোনে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ল্যান্ডমাইন বসানোর কাজ শুরু করলেন তাঁরা। তখন রাত আটটা থেকে নয়টা । উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন মাইন বসিয়ে উল্লাসকর ও বারীণ কোলকাতায় ফিরলেন । তাঁরা দুজন নারায়ণগড় স্টেশনে মাদ্রাজ‌ মেলে উঠেছিলেন। পরবর্তীকালে আলিপুর বোমা মামলায় গ্রেপ্তার হন তিনি। যখন ছাড়া পান তখন দেশ স্বাধীন। বাঁকুড়ায় নিজের বাড়িতে ফিরে এসে চরম আর্থিক অনটনের মুখে পড়েন এই বিপ্লবী। বিভূতিভূষণ সরকারের ছেলে সুধাংশু সরকার যাকে সকলে ভালুক সরকার বলে চিনতেন তিনিও আজ নেই। শুধু তার বাড়িতে রয়েছেন পুত্রবধূ।