কোচবিহার, নিজস্ব সংবাদদাতা:- সারা রাজ্যের সাথে কোচবিহার জেলাতেও জয় জয় কার তৃণমূল কংগ্রেসের। সেই সময়ে দাড়িয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন কোচবিহার ১নং ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট সিতেন বর্মন ও চেয়ারম্যান অমল চন্দ্র সরকার। এদিন তারা কোচবিহার জেলা বিজেপির সদর দপ্তরে গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। এদিন তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেয় বিজেপির জেলা সভাপতি তথা কোচবিহার উত্তর বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক সুকুমার রায়।
জানা গেছে, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কোচবিহারে তৃণমূল কংগ্রেসের জয় জয়কার। তারপর কোচবিহারের এক নম্বর ব্লক থেকেই জেলা পরিষদের সভাধিপতি হন সুমিতা বর্মন এবং সহ-সভাপতি হন আব্দুল জলিল আহমেদ। এই অবস্থায় দাড়িয়ে কোচবিহারের এক নম্বর ব্লক থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং চেয়ারম্যান অমল চন্দ্র সরকার সহ এক ঝাক তৃণমূল কর্মী বিজেপি জেলা পার্টি অফিসে এসে বিজেপিতে যোগদান করলেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয় জেলা জুড়ে। এটা কি গোষ্ঠী কোন্দল না কি দলের নেতারা গুরুত্ব পাচ্ছে না সেই কারণে দলবদল।
এদিন এবিষয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা সিতেন বর্মন বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস দলে কোন নীতি আদর্শ নেই। সেখানে ভালো মানুষ থাকতে পারে না। কারণ সেখানে সকলে নেতা এবং দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট নিয়ে তৃণমূলের তাবড় তাবড় নেতারা পয়সা নিয়ে টিকিট দিয়েছে। সেই কারণে এই দলে নীতি আদর্শ না থাকায় আমরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দান করি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে কিছুটা হলে জেলা জুড়ে ব্যাগফুটে রয়েছে বিজেপি। কারণে নেতাদের মুখে বুলি থাকলেও কাজে কিছু নেই। সেই সময় দাড়িয়ে জেলায় ১২৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ভোটে লড়াই করে বিজেপি দখল নিয়েছে ২২টি গ্রাম পঞ্চায়েত। অন্যদিকে তৃণমূলের জয়জয়কার হলেও কেন দল ছেড়ে বিজেপি যোগ তা নিয়ে প্রশ্ন চিন্হ রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।
এদিন তৃণমূল কর্মীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেওয়ার পর বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা উত্তর বিধানসভার বিধায়ক সুকুমার রায় বলেন, আজ কোচবিহার ১ নং ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট সিতেন বর্মন সহ প্রায় ৭০ জন তৃণমূল কর্মী আজ ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের বহু নেতা কর্মী আমাদের সাথে যোগাযোগ করছে। আমরা সেই নাম গুলো নিচু স্তরে পাঠাচ্ছি। সেই নাম গুলো দেখে তাদের সমন্ধে খোজ খবর নিয়ে তারপর দলে ঢোকাবো।