নিজস্ব সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- যাদবপুর কাণ্ড যেন টনক নড়িয়ে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যসহ সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিকে। এই যাদবপুর কাণ্ডের জল যাতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান গুলোতে এসে না গড়ায় তার জন্য শুরু হলো তদারকির ব্যবস্থা।যাতে এই ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তাই এদিন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি অ্যান্টি রেগিং কমিটিকে নিয়ে বসলো বৈঠকে। এদিন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা: পঞ্চানন কুন্ডুর নেতৃত্বে অ্যান্টি রাগিং কমিটির বৈঠক সম্পূর্ণ হলো।
দেখা গেছে যাদবপুর কাণ্ডের পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে চলেছে রাজনৈতিক চাপানোতর। তাই আগে ভাগেই কি সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেছে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি? উঠেছে প্রশ্ন। রাজ্যের শিক্ষাবিদেরা মনে করছেন পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলে এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনাকে এড়ানো গেলেও যেতে পারে।
বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার ডা: পঞ্চানন কুন্ডু জানান।ন্যাশনাল মেডিকেল কাউন্সিলের তরফ থেকে তাদেরকে একটা নির্দেশিকা জারি করা হয় যে গত ১২ই আগস্ট অ্যান্টি র্যাগিং ডে পালন করা। সেই অনুযায়ী একটা কমিটি গঠন করে বিভিন্ন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে রেগিংয়ের জন্য কি ধরনের আইন বা নির্দেশিকা রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে তাদের অবগত করা,র্যাগিং আইনের বিভিন্ন ধারা গুলি তাদেরকে বোঝানো এসব করা চলছে। তিনি এও জানান যাদবপুর কাণ্ডের পরে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ব্যবস্থা সত্যিই নেওয়া হচ্ছে এবং যেসব পড়ুয়া উত্তীর্ণ তাদেরকে হোস্টেল ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হচ্ছে।
সবে মিলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যেন যাদবপুরের মর্মান্ত পড়ুয়া মৃত্যুর থেকে শিক্ষা নিতে শুরু করেছে।এখন শুধু দেখার বিষয় এটাই রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কিভাবে তাদেরকে আগামী দিনে পরিচালনা করে।