গদাধর নদীতে ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী, আতঙ্কে গ্রামবাসীরা।

0
345

কোচবিহার, নিজস্ব সংবাদদাতা:- গদাধর নদীর ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী। নদী গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে ৫-৬টি বাড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে তুফানগঞ্জ ১ ব্লকের অন্তর্গত দেওচড়াই গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝলঝালি সরকার পাড়া এলাকায়। ওই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, ইতিমধ্যেই ৫ থেকে ৬টি বাড়ি নদী গর্ভে তলিয়ে গেছে, প্রতিবছরই তাদের বর্ষাকালে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। নদীর জল তাদের ঘরে চলে আসে। তারা শান্তিতে রাতে ঘুমোতো পর্যন্তও পারে না কখন নদীর জল ঘরে চলে আসে। তাদের থাকার বাসস্থান নেই। তাদের সমস্যার মধ্য দিয়ে জীবন যাপন করতে হচ্ছে। এছাড়াও প্রায় ৩০ একরেরও বেশি কৃষি জমি নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে।
এদিন এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এলাকার যাতায়াতের রাস্তাটি ও ক্ষতিগ্রস্ত। বর্ষায় রাস্তার অবস্থা বেহাল পুরো কাদা হয়ে গেছে। যাতায়াতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জল জমে থাকে কাঁদা হয়ে যায়। যার ফলে বাচ্চারা ঠিকমত স্কুলে যেতে পারছে না এবং হাসপাতালে কোন রোগীকে এমার্জেন্সি হলে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না খুব সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে সেখানকার বাসিন্দাদের। ভোটের সময় হলে সেই এলাকায় প্রধান বা পঞ্চায়েতরা আশ্বাস দেয় রাস্তা ঠিক করে দেবে। কিন্তু ভোট মিটে গেলে সে কাজ আর হয় না এবং তাদের আর দেখাও মেলেনা।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রশাসন থেকে তাদের কোন সুবিধা দেওয়া হয় না বা তাদের খোঁজও নেওয়া হয় না। তারা আরও বলেন গ্রামের বাসিন্দারা কোন সরকারি সুযোগ-সুবিধা এই বিষয়ে পায় না। সরকারি আধিকারিকদের দপ্তরে জানানো হলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তাদের পক্ষ থেকে, দেওচড়াই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রমীলা বিশ্বাস দাস তিনি জানান গোটা বিষয়টি তিনি জেনেছেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন এই এলাকায় ভাঙ্গন রোধ করা যায়।

সাধারণ মানুষের একটাই দাবি প্রশাসন থেকে যাতে একটা শক্ত কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণ করে দেওয়া হোক, যাতে তারা শান্তিতে সেখানে বসস্থান ও জীবনযাপন করতে পারে। এখন সেই এলাকার মানুষরা একটা আশায় দিন কাটাচ্ছে যে কবে তাদের এই সব সমস্যার সমাধান হয় সেই অপেক্ষায় দিন কাটছে। তারা কবে সুস্থ স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করতে পারবে।