আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ- বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী ব্লকের জঙ্গল ঘেরা গ্ৰাম খাগ বৈকুণ্ঠপুর। বেশিরভাগ বসবাস করে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা। রক্তদান শিবিরের আগের দিনে এক আদিবাসী মহিলা বলেন এই স্কুলের এক শিক্ষককে বলে ,ওহ,মাস্টার ওই! শুনতে পাচ্চু আমি ইদিকে রে।পিছন ফিরে শিক্ষক দেখেন মাথায় দশ গন্ডা ধানের বীজ নিয়ে জলে কাদায় মাখামাখি মহিলা।বলচি উদিনে বিকালে আমাদের সম্ভরী,ওই যে রে তোদের ইস্কুলে নিচু ক্লাসটাতে পড়ে উ বলছিল তোদের ইস্কুলে নাকি রক্তদান হবেক।বলচি উতে আমি রক্ত দিতে চাই। আমার কিন্তু কোন রোগ জ্বালা নাই।কুনো দিন এক দাগ ওষুধ খাইনি
হ্যাঁ মাস্টার আমি দিতে পারবো রক্ত ? বলছি শুন আমি তাইলে ভোরের দিকে যেয়ে ধান লাগিয়ে দুবো আর তারপর ওই দশটার দিকে তোদের ইস্কুলে চলে যাবো ওই বনের রাস্তাটা ধরে সোজা হাঁটন দিয়ে।ও মাস্টার! বলছি আমার নামটা লিস্টির প্রথম দিকেই লেখে দিস
রক্ত দিয়ে এসে ছাগল গুলান খুলতে হবেক। এদিন প্রথম রক্তদাতা ছিল পঞ্চাশ জন মোট ষাট জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। এছাড়াও এদিন বেশ কয়েকজন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন।
Home রাজ্য দক্ষিণ বাংলা খাগ জুনিয়র হাইস্কুল ও খাগ জুনিয়র হাইস্কুল বাঁচাও কমিটির উদ্যোগে রক্তদান শিবির।