আবদুল হাই,বাঁকুড়া: ছেলে সুনীল বাউরি ডায়রিয়ার উপসম নিয়ে ভর্তি হাসপাতালে। ঠিক তার দুদিনের মধ্যেই প্রচন্ড ডায়ারিয়ার কারণে মৃত্যু হল সুনীলের বৃদ্ধা মায়ের। অসুস্থ সুনীল জানেনই না তার মা মারা গেছে। জানলে হার্টফেল করে মারা যাবেন দুর্বল অসুস্থ ছেলে, এমনটাই বলছেন বাঁকুড়ার তাঁতীপুকুর এলাকার বাসিন্দারা। মায়ের মুখাগ্নি করা তো দূরের কথা! নিজে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে মায়ের মৃত্যুর খবরই জানেন না ছেলে! মাকে যে ভীষণ ভালোবাসে সুনীল। মায়ের ওপর ভরসা করেই তার সন্তানদের রেখে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। বাচ্চা বাচ্চা ছেলে মেয়ে, তারা বুঝতেই পারছেনা কি ঘটে গেল তাদের জীবনে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখা গেল তারা যাকেই দেখতে পাচ্ছে তাকেই জিজ্ঞেস করছে “বাবা কেমন আছে?”।
বেশ কয়েকদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন সুনীল বাউরি, আপাতত পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল। বর্ষায় যমদূত হয়ে নেমেছে এই ডায়রিয়া! সুনীলের অজান্তেই কেড়ে নিয়ে গেল তার মাকে। যদিও ডায়রিয়ায় উপসম নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি তবে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান যে এখনও পর্যন্ত ডায়রিয়ায় মৃত্যু হয়নি একজনেরও। তবে স্থানীয়রা বলছেন উল্টো কথা।
ঠিক মত ব্যাবস্থা নেই শৌচকর্মের। পুরো বর্জ্য মল গিয়ে পৌছায় পুকুরে এবং সেই পুকুরের জলেই চলে নিত্য দিনের কাজ। কিছুটা সচেতনতার অভাব এবং আর্থিক অনটনের কারণেই এরকম অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতিতে বসবাস করতে বাধ্য সুনীলের মত বাউরি পাড়ার অন্যান্য মানুষজন। শুক্রবার আরও একজন আক্রান্ত হয়েছেন কঠিন ডায়রিয়ার উপসম নিয়ে। আতঙ্কে সাধারণ মানুষ।