পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি এবং তমলুক লোকসভা কেন্দ্র এখনও খাতায় কলমে তৃণমূলের দখলে। তবে আগামী বছর লোকসভা ভোটে এই দুটি আসনেই তৃণমূল লক্ষাধিক ভোটে পরাজিত হবে বলে দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে সমাবেশের আয়োজন করেছিল বিজেপি।
ওই মঞ্চ থেকে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, ‘গত লোকসভা ভোটে কাঁথি এবং তমলুক কেন্দ্রে লক্ষাধিক ভোটে পিছিয়ে ছিল বিজেপি। ২৪ এর লোকসভা ভোটে উলটো হবে। কাঁথি এবং তমলুক থেকে বিজেপি জিতবে, দুটি জায়গা থেকেই লক্ষাধিক ভোটে হারবে তৃণমূল।’
প্রসঙ্গত, কাঁথি এবং তমলুক দুটি লোকসভা কেন্দ্রে এই মুহূর্তে অফিসিয়ালি তৃণমূলের দুই সাংসদের একজন শিশির অধিকারী, অপরজন সৌমেন্দু অধিকারী। তাঁরা সম্পর্কে শুভেন্দুর বাবা ও ভাই। আগামী বছর তাঁরাই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে লড়বেন কি না, তা অবশ্য এদিন স্পষ্ট করেননি শুভেন্দু। তবে সংশ্লিষ্ট দুটি কেন্দ্রে বিজেপির জয় সুনিশ্চিত করতে এখন থেকেই যে তিনি মাঠে নেমে পড়েছেন, এদিন তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন শুভেন্দু। চব্বিশের লোকসভা ভোটে মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি ৪০০ আসনে জিতে সরকার গঠন করবে বলেও দাবি করেন বিরোধী দলনেতা। ‘আমাদের মাটি মোদীজির ঘাঁটি’ স্লোগান দিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রেখে চটি পরা পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়ারকে দিয়ে ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। তাসত্ত্বেও চোরেদের আমরা পঞ্চায়েতে কিছুটা হলেও উত্খাত করতে পেরেছি। ৮৪ জন প্রধান এই জেলায় আমাদের হয়েছে, ১৪টা জেলা পরিষদ আসনে আমরা জিতেছি। যদি সব বুথে ভোট হত, বাক্স বদলাতে না পারতো তাহলে আমরা আরও ভাল ফল করতাম।’ এখনই অবাধ ভোট হলে জেলার অন্তত ৩০টি জেলা পরিষদে বিজেপি জিতবে বলেও দাবি করেন শুভেন্দু।শুভেন্দুর এদিনের সভাকে ঘিরে পুলিশি নিরাপত্তা ছিল চোখে পড়ার মতো। মানুষের উপস্থিতিও ছিল নজরকাড়া। বস্তুত, ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে, জানিয়ে শুভেন্দুর এদিনের সভাকে প্রথমে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। প্রতিবাদে পুলিশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। পুলিশের আপত্তি নাকচ করে বিরোধী দলনেতার সভা করার অনুমতি দেন বিচারপতি। একই সঙ্গে শুভেন্দুর সভার নিরাপত্তা জেলা পুলিশকে সুনিশ্চিত করারও নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।