মালদহের বামনগোলা ব্লকের নালাগোলায় আইসানী নবাবনগরে চন্দন দাস বাবাজী মন্দিরে প্রতি বছরের মতে এবছরেও পালিত হছে ঝুলন যাত্রা ।

0
453

মালদা, নিজস্ব সংবাদদাতা:– সুপ্রাচীন এই উৎসবের সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানা সামাজিক ও পৌরাণিক তাৎপর্য।শ্রীকৃষ্ণের ভক্তদের কাছে আজও বাংলার এক ঐতিহ্যবাহী উৎসব ঝুলনযাত্রা একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। তবে বর্তমানে শহরাঞ্চলে এই উৎসবের রেশ ক্ষীণ হয়ে আসছে। কিন্তু আজও মালদহের বামনগোলা ব্লকের নালাগোলায় আইসানী নবাবনগরে চন্দন দাস বাবাজী মন্দিরে প্রতি বছরের মতে এবছরেও পালিত হছে।এই ঝুলন যাত্রা উপলক্ষে মন্দির প্রাঙ্গনে ভক্তদের ভীর চখে পরার মতো এই ঝুলনযাত্রা উৎসবে।ঝুলনের আরেক অর্থ দোলনা। ওইদিন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্য দোলনা সাজানো হয়। আর সেই দোলনায় বসিয়ে শ্রীকৃষ্ণ ও রাধাকে দোল দেওয়া হয়। ঝুলনযাত্রার দিন শ্রীকৃষ্ণ এবং রাধার প্রেমের পূর্ণ প্রকাশ ঘটেছিল বলে অনুমান করা হয়।বৃন্দাবনে রাধা-কৃষ্ণর শৈশব-স্মৃতি, বিশেষতঃ সখা-সখীদের সঙ্গে দোলনায় দোলার প্রেমলীলাকে কেন্দ্র করে দ্বাপরযুগে এই ঝুলন উৎসবের সূচনা হয়েছিল।এর পর থেকে এখনও গৌড়ীয় বৈষ্ণবদের এটা প্রিয় অনুষ্ঠান। তাই এই দিনে কই এক বামনগোলা ব্লকে নালাগোলার আইসানী নবাবনগরে শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার পুজো করে থাকে।এছাড়া ভক্তিমূলক গান, নাচের আয়োজন করা হয় এই দিন। তবে সনাতন ধর্মের এই গুরুত্বপূর্ণ উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় নামসংকীর্তন হয়।মেতে উঠে এই অনুষ্ঠান ঘিরে পাঁচ দিন অনুষ্ঠান চলবে শেষ দিনে এলাকার বাসিন্দাদের খিচুড়ি প্রশাসদ বিতরন করা হবে।