ফাঁসিরঘাট এলাকার মানুষের মঙ্গল কামনায় পুজো দিলেন তৃনমূলের জেলা সভাপতি।

0
287

কোচবিহার, নিজস্ব সংবাদদাতা:- হু হু করে বেড়েই চলেছে তোর্ষার জল। কোচবিহার শহরের ফাঁসিরঘাট সহ সংলগ্ন বহু এলাকায় জল ঢুকে যায় প্রতিবছর। ফলে বাঁধের উপর আশ্রয় নিতে হচ্ছে না হয় নিজেদের ভিটেমাটি ছেড়ে বাণভাসি হয়ে যেন ঘর ছেড়ে নিরাপত কোন আশ্রয় খুঁজতে হয়। এবছর যাতে তোর্ষার জল বেড়ে গেলেও ঘর বাড়ি ছেড়ে কোথাও যেতে না হয়। সে কারণেই আজ মহাদেব শিবের আরাধনায় ব্রতী হয়েছেন ফাঁসির ঘাট এলাকার স্থানীয়রা। সেই যজ্ঞে যোগ দেন কোচবিহার পৌরসভার ১৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তথা তৃনমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। এদিন তিনি কোচবিহার পৌরসভা ১৬ ও ১৮ নং ওয়ার্ডের বাঁধের পারে এলাকায় জলেশ্বরনাথ শিব মন্দির ও পাটাকুড়ায় বাবা ভোলেনাথের রুদ্রাভিষেক মন্দিরে যান। সেখানে গিয়ে তিনি পুজো করেন।
জানা গেছে, নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত ফাঁসির ঘাট এলাকার মানুষেরা। প্রতিবছরই বর্ষায় তোর্সা নদীর জল ফুলে ফেঁপে ওঠে আর এলাকাবাসীদের ভিটেমাটি তলিয়ে যায় জলের তলায়। তাই সেই এলাকায় বসবাসকারী মানুষেরা কোচবিহার ফাঁসির ঘাট সংলগ্ন এলাকায় শিবের পুজো দিয়ে প্রার্থনা করছেন। এবছর বর্ষায় যেন তাদের আর ভিটেমাটি খোয়াতে না হয়। সেই কারন আজকের এই যজ্ঞ।
এদিন এবিষয়ে ১৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তথা কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, আজ যেই শিবের রুদ্রাভিষেক করা হচ্ছে সেই শিবলিঙ্গ একসময় এই তোর্সানদী থেকেই পাওয়া গিয়েছিল। তারপর থেকেই এখানে শিবলিঙ্গটি প্রতিস্থাপন করা হয়। এবং এই এলাকার মানুষজন এখানে পূজো করে থাকেন। আজকের এই পুজো বিশেষ, কারণ বর্ষায় তোর্সানদী ভয়ংকর রূপ নিয়ে যেন এলাকার মানুষদের ক্ষতি করতে না পারে সেই প্রার্থনায় সাধারণের সাথে আমিও ব্রতী হয়েছি মহাদেবের আরাধনায়।
তিনি আরোও বলেন, বিভিন্ন জায়গায় বাসের সাঁকো করা হলেও জলস্রোতে সেগুলি ভেঙে পড়ে। যেমন, টাকাগাছ, মোয়ামারী, ফাঁসির ঘাট, মধুপুর কালপানি, বড় আটিয়াবাড়ি, ছোট আটিয়াবাড়ি সহ বেশ কিছু জায়গার মানুষ বাণভাসির আশঙ্কা করছেন। সে সমস্ত জায়গায় কি করা হবে সেই বিষয়ে সেচ দপ্তরের সাথে কথা বলা হয়েছে। সকলে মিলে একটা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।