রাখী বন্ধন উৎসব উপলক্ষে সংস্কৃতি দিবস উদযাপন।

0
217

দুবরাজপুর, সেখ ওলি মহম্মদঃ- ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ প্রতিরোধ করার জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাখি বন্ধন উৎসব পালন করেছিলেন। তিনি কলকাতা, ঢাকা ও সিলেট থেকে হাজার হাজার হিন্দু ও মুসলিম ভাই-বোনকে আহ্বান করেছিলেন একতার প্রতীক হিসাবে রাখি বন্ধন উৎসব পালন করার জন্য। আজকের দিনে ভাই-বোনের সম্পর্ক আজীবন রক্ষা করার উদ্দেশ্যে দাদা বা ভাইয়ের ডান হাতের কব্জিতে দিদি বা বোনেরা পবিত্র সুতো বেঁধে দেয়। এর মাধ্যমে দিদি বা বোনেরা, দাদা বা ভাইয়ের মঙ্গল কামনা করে থাকে। তাই আজ বীরভূম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আয়োজনে রাখী বন্ধন উৎসব উপলক্ষে জেলা ব্যাপী ‘আনন্দপাঠ’ শিক্ষা কেন্দ্রগুলিতে সংস্কৃতি দিবস উদযাপন করা হল দুবরাজপুর ব্লকের হেতমপুর পঞ্চায়েতের আদিবাসী অধ্যুষিত গিরিডাঙ্গাল গ্রামে। এই উপলক্ষে আদিবাসী সম্প্রদায়ের কচিকাঁচাদের নিয়ে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। এদিন উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের জেলা শাসক বিধান রায়, দুবরাজপুর ব্লকের বিডিও রাজা আদক সহ আরও অনেকে। রাখী বন্ধন উৎসব কেন পালন করা হয় বা আজকের দিনের গুরুত্ব কী আদিবাসী সম্প্রদায়ের কচিকাঁচাদের সামনে সে কথা তুলে ধরেন জেলা শাসক বিধান রায়। এদিন আদিবাসীদের সম্প্রদায়ের কচিকাঁচারা জেলা শাসক বিধান রায়ের হাতে রাখী পরিয়ে দেয় এবং জেলা শাসকও কচিকাঁচাদের হাতে রাখী পরিয়ে তাঁদের আজকের দিনে শুভেচ্ছা জানান। তাছাড়াও আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে চলা দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে বা আগে কেন এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত থেকে গিয়েছেন সেই বিষয়ে দুবরাজপুর ব্লক কর্তৃক একটি পুস্তিকা উন্মোচন করেন।