বাঁকুড়া শহরের পুকুরের জলের গুণগত মান একেবারেই নিম্নমানের বলেই জানা গেছে রিপোর্ট অনুযায়ী।

0
240

আবদুল হাই,বাঁকুড়া: বাঁকুড়া ক্রিশ্চিয়ান কলেজের ডিপার্টমেন্ট অফ জিওগ্রাফির ছাত্র-ছাত্রীরা বাঁকুড়া শহরের ২৪ টি ওয়ার্ডের পানীয় জল এবং স্বাদু জলের নমুনা সংগ্রহ করে এবং সেই নমুনা পরীক্ষা করে একটি তথ্যসম্বলিত রিপোর্ট তৈরি করে। রিপোর্ট অনুযায়ী কোন কোন ওয়ার্ডের পানীয় এবং স্বাদু জল পান যোগ্য এবং ব্যাবহার যোগ্য সেটা বোঝাতে TDS অর্থাৎ (টোটাল ডিসলভড সলিড) এর সূচক ব্যাবহার করা হয়েছে। সূচক অনুযায়ী টিডিএস মাত্রা ৮০০ এর বেশি হলেই সেই জল কোনোভাবেই পানযোগ্য নয় এবং সূচক ৯০০ পার করলে জল ব্যাবহার করতেও নিষেধ করছে বিশেষজ্ঞরা। রিপোর্ট অনুযায়ী ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পানীয় জলের গুণগতমান সবচেয়ে ভালো। বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজের প্রফেসর সুব্রত পান জানান “পৌরসভার ২৪টি ওয়ার্ডের যে পানীয় জল রয়েছে তা পান যোগ্য। বাঁকুড়া শহরের পূর্ব দিকের কয়েকটি ওয়ার্ডে টিডিএস একটু বেশি। দেখা গেছে বাঁকুড়া শহরের পশ্চিম দিকের ওয়ার্ড গুলির জলের মান ভালো।”
পৌরসভা কর্তৃক যে পানীয় জলের মান যথেষ্ট গ্রহণযোগ্য , এমনটাই বলছেন এই রিপোর্ট। তবে বাঁকুড়া শহরের পুকুরের জলের গুণগত মান একেবারেই নিম্নমানের বলেই জানা গেছে রিপোর্ট অনুযায়ী। পানীয় জলের মতই পরিষ্কার স্বাদু জলের জন্যে প্রয়োজন সচেতনতা। পুকুরের জলকে পরিশ্রুত করতে বিশেষ পদক্ষেপ নিচ্ছে বাঁকুড়া পৌরসভা, এমনটাই জানালেন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি জানান, “বাঁকুড়া পৌরসভার অন্তর্গত যে পুকুরগুলিতে আবর্জনা তৈরি হয়েছে সেই পুকুর মালিকদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে পরিষ্কার করার জন্য, যদি তারা পরিষ্কার না করে তাহলে পৌরসভা থেকে পরিষ্কার করে দেওয়া হবে এবং পরিষ্কার করার খরচ নিয়ে নেওয়া হবে, অন্যথা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পরিশ্রুত পানীয় জল হোক কিংবা সারফেস ওয়াটার, পানীয় জল অথবা ব্যবহারের জল পরিস্কার রাখতে সবার আগে প্রয়োজন সাধারণ মানুষের সচেতনতা। মানুষের সচেতনতার সঙ্গে সরকারের মেলবন্ধনই একমাত্র স্বাস্থ্যকর পরিশ্রুত জলের সুব্যবস্থা তৈরি করতে পারে।